উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় বিজেপির জয় ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেও জয়ের ভিত্তি তৈরি করল ৷ এমনটাই মনে করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ বৃহস্পতিবার রাজ্যে বিজেপির জয়ের উৎসবের মঞ্চ থেকে এই কথাই বললেন তিনি ৷ তিনি উল্লেখ করলেন ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফলের প্রসঙ্গ ৷ তাঁর দাবি, ২০১৯ সালে যখন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি জেতে, তখন অনেক বিশেষজ্ঞ বলেছিলেন যে ওই জয়ই স্বাভাবিক ছিল ৷ কারণ, ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশে জিতেছে বিজেপি ৷ তাই মোদির দাবি, এবারও ওই বিশেষজ্ঞদের বোঝা উচিত আজ উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার ফলে ঠিক হয়ে গেল যে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিই জিততে চলেছে ৷ এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, এদিন পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হয়েছে ৷ চার রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রেখেছে বিজেপি ৷ তাই নয়াদিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে বিজয়োৎসব পালন করা হয় ৷ সেখানেই প্রধানমন্ত্রী এই কথা বলেন ৷ পাশাপাশি এই জয়ের জন্য ওই রাজ্যের মানুষকে ধন্যবাদ দেন ৷ তিনি জানান, প্রথমবারের ভোটার ও মহিলা
ভোটেই বিজেপি জিতেছে ৷ পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশে এবার বিজেপি যে যে রেকর্ড করেছে, সেইগুলিও উল্লেখ করেছেন ৷ ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও উত্তরপ্রদেশ, মণিপুর ও গোয়ায় ভোট শতাংশ বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করেছেন ৷ নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘আজ উৎসবের দিন। এই উৎসব ভারতের গণতন্ত্রের জন্য। এই ভোটে অংশগ্রহণের জন্য প্রত্যেক ভোটারকে অভিনন্দন, কৃতজ্ঞতা। যেভাবে মা-বোন-যুব সমাজ বিজেপিকে সমর্থন করেছে, তা অভাবনীয়। ভোটের সময় বিজেপি কর্মীরা কথা দিয়েছিলেন, এবার হোলি ১০ মার্চ থেকেই শুরু হবে। আমাদের কর্মীরা সেই কথা রেখেছেন। বিজেপির সব নেতা-কর্মীদের অভিনন্দন জানাই। মানুষের মন, বিশ্বাস জয়ে নেতা-কর্মীরা সফল হয়েছেন।’নরেন্দ্র মোদি আরও বলেন, ‘দেশ বহুবার দ্বিতীয় দফায় একই প্রধানমন্ত্রী দিয়েছে, কিন্তু প্রথমবার উত্তরপ্রদেশে পরপর দুবার কোনও মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমতায় এলেন। গোয়ার মানুষ তৃতীয়বার সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন। উত্তরাখণ্ডেও বিজেপি নতুন রেকর্ড করেছে। প্রথমবার কোনও দল পরপর দু’বার ক্ষমতায় এল।
বিজেপিকে দেশের চার দিক থেকে মানুষ আশীর্বাদ করেছে। বিজেপির নীতি, উদ্দেশ্যর উপর মানুষের অপার বিশ্বাসই এই জয়ের নেপথ্যে। আগে মানুষ নিজের অধিকারের জন্য দরজায় দরজায় ঘুরতেন। সরকারি দফতরে ঘুরতে হত, ঘুষ দিতে হত। গরিব-উন্নয়নে ঘোষণা, প্রকল্প অনেক হয়েছে, কিন্তু যাদের সেই প্রকল্পে অধিকার, তাঁরা সেই প্রকল্পের সুবিধা পাননি। মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম বলে জানি, মানুষের কাছে প্রকল্প পৌঁছে দিতে কত পরিশ্রম করতে হয়। বিজেপি গরিব মানুষকে ভরসা দেয়, প্রত্যেকের ঘরে সুবিধা পৌঁছে যাবে। আর আমি গরিব মানুষের কাছে সুবিধা না পৌঁছনো অবধি শান্তিতে থাকতে পারি না। দু’দশক ধরে মুখ্যমন্ত্রী থাকায় জানি কীভাবে মানুষের কাছে সুবিধা পৌঁছে দিতে হয়। আমি বলেছিলাম, ১০০ শতাংশ কাজ করবে আমাদের সরকার। আমরা প্রত্যেক গরিব মানুষের কাছে পৌঁছব। ভোটের ফলাফলে মা-বোনেদের অনেক বড় অবদান রয়েছে। যেখানে পুরুষদের তুলনা মহিলারা বেশি ভোট দিয়েছেন, সেখানেই বিজেপি বড় জয় পেয়েছে। ভারতের মা-বোনেরা নিরন্তর বিজেপিকে বিশ্বাস করছেন। তাঁরা জানেন যে সরকার তাঁদের পাশে সবসময় আছে।’