ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে মঙ্গলবার সকালে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের উদ্দেশে উড়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিন দিনের সম্মেলনে ভারত ছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকা, রাশিয়া, ব্রাজিল ও চিনের রাষ্ট্রপ্রধানদের যোগ দেওয়ার কথা। সম্মেলনের ফাঁকে চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিংয়ের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠকে বসতে পারেন মোদি। তবে কবে ওই বৈঠক হবে তা নিশ্চিত নয়। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের অপরাধে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। ওই গ্রেফতারি পরোয়ানা মাথায় নিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন তিনি। যদিও তাঁকে গ্রেফতার করা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা। গ্রেফতারির হাত থেকে রুশ প্রেসিডেন্টকে রক্ষা করতে কূটনৈতিক রক্ষাকবচ দেওয়ার ঘোষণা করেছেন। ২০১৯ সালে করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার আগে শেষবারের মতো ব্রিকস সম্মেলনে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন পাঁচ দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। তার পর থেকে ভার্চুয়ালি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। এবার ফের সম্মেলনে পাঁচ দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা সশরীরে হাজির থাকছেন। ফলে পরস্পরের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠকে বসার সুযোগ থাকছে। ব্রিকস সম্মেলনের পাশাপাশি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিংয়ের বৈঠকের দিকে তাকিয়ে কূটনৈতিক মহল। পাঁচ দেশের মধ্যে পারস্পারিক সহযোগিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বেশ কিছু অর্থনৈতিক সিদ্ধান্তও নেওয়া হবে।