দেশ

ভারত চায় প্রতিবেশী দেশগুলো শান্তি, সমৃদ্ধির পথে হাঁটুক : প্রধানমন্ত্রী

আর জি কর-র অন্দরে মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুতে ক্ষোভে ফুঁসছে দেশ। তাঁকে যে নৃশংস অত্যাচার করে হত্যা করা হয়েছে, তার প্রতিবাদে সরব সাধারণ মানুষ। এদিকে, ঘটনার কিছুদিন আগে, গত ৫ অগস্ট বাংলাদেশের রাজনীতি তোলপাড় হয়। সেদেশে ছাত্র-জনতা আন্দোলনের সরব দাবিতে পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা, বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ছুটে আসেন ভারতে। এরপর বাংলাদেশে হিন্দুজদের ওপর অত্যাচারের নানান ঘটনা দেখা যায়। এই সমস্ত পর্বের সঙ্গে দেশের অগ্রগতির বিষয়ক বহু বার্তা নিয়ে স্বাধীনতা দিবসের সকালে লালকেল্লার বুক থেকে একাধিক বড় বিষয়ে বার্তা দেন মোদী। এদিন মোদী, বৈষম্যমুক্ত সমাজের দাবিতে সরব হন। তিনি বলেন,’আমরা যে সিভিল কোড নিয়ে বসবাস করছি তা আসলে একটি সাম্প্রদায়িক দেওয়ানি বিধি। আমি বলব, দেশে ধর্মনিরপেক্ষ সিভিল কোড থাকা এখন সময়ের দাবি। তবেই আমরা ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্যমুক্ত হব।’ দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের সময়ে দেশের ৪০ কোটি মানুষের সংগ্রামের কথা স্মরণ করিয়ে দেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, ‘আমরা গর্বিত যে সেই সময়ের দেশের ৪০ কোটি মানুষের রক্ত আমাদের দেহে বইছে।’ একইসঙ্গে তিনি বলেন,’ ৪০ কোটি মানুষ যদি দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙ্গে স্বাধীনতা অর্জন করতে পারেন, তাহলে ১৪০ কোটি মানুষের সংকল্পে কী না অর্জন করা যায়, একবার ভাবুন।”   তিনি বলেন বিকশিত ভারতের আওতায় আগামী ৫ বছরে ৭৫ হাজার নতুন মেডিক্যাল আসন তৈরি হতে চলেছে দেশে। তা ছাড়াও গেমিং সেক্টর, স্পেস সেক্টরে দেশে উন্নয়নের রূপরেখা নিয়ে মোদী বার্তা দেন। মহিলাদের মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে মোদী বলেন,’ কর্মজীবী ​​নারীদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ১২ সপ্তাহ থেকে বাড়িয়ে ২৬ সপ্তাহ করা হয়েছে। সুগম্য ভারত অভিযানের মাধ্যমে, আমার বিশেষভাবে সক্ষম ভাই ও বোনেরা মর্যাদা অনুভব করে। আমাদের ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়ের জন্য, তাদের জীবনকে সম্মানজনক করতে আমরা নতুন সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।” মোদী বলেন,’নীতি যখন সঠিক, অভিপ্রায় সঠিক এবং জাতির কল্যাণের মন্ত্র তখন আমরা অবশ্যই ফলাফল অর্জন করব।’ এছাড়াও তাঁর বার্তায় আসে বাংলাদেশের প্রসঙ্গ। সেখানে হিন্দু সংখ্যালঘুদের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মোদী। উল্লেখ্য, ১৫ অগস্ট বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপ্রধান শেখ মুজিবর রহমানেরও মৃত্যুদিন। তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা দেশ ছএড়ে পদত্যাগ করে ভারতে এসেছেন। এই প্রেক্ষাপটে মোদী দিয়েছেন বড় বার্তা। ‘  মোদী বলেন,’প্রতিবেশী দেশ হিসেবে আমি বাংলাদেশে যা কিছু ঘটেছে তা নিয়ে উদ্বেগ বুঝি। আমরা চাই সরকার সেখানে হিন্দু ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুক। ভারত সবসময় চায়, তার প্রতিবেশী দেশগুলো সমৃদ্ধি ও শান্তির পথে হাঁটুক।’ ‘