কলকাতা

ব্রিগেডে লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ অনুষ্ঠিত আসতে পারছেন না, শুভেচ্ছা বার্তা পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

আজ লক্ষ কণ্ঠে গীত পাঠ অনুষ্ঠিত হবে ব্রিগেডে ৷ তার আগে শনিবার রাতে শুভেচ্ছে বার্তা পাঠালেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ এই বার্তা সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ৷ প্রধানমন্ত্রীর লেখা শুভেচ্ছা চিঠি পোস্ট করেছেন সুকান্ত ৷ তিনি লেখেন, লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ অনুষ্ঠানকে অটুট সমর্থন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ৷ তিনি আমাদের উৎসাহিত করেছেন ৷ প্রধানমন্ত্রী তাঁর বার্তায় লিখেছেন, কলকাতার প্যারেড গ্রাউন্ডে লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে সনাতন সংস্কৃতি সংসদ, মতিলাল ভারত তীর্থ, সেবা মিশন আশ্রম এবং অখিল ভারতীয় সংস্কৃতি পরিষদ ৷ এটা খুব আনন্দের ৷ এক লক্ষ মানুষ গীতা পাঠ করে শোনাবেন ৷ এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয় ৷ তিনি আরও জানিয়েছেন, গীতা জীবনের পথপ্রদর্শক ৷ জীবন পরিচালনার হ্যান্ডবুক ৷ এইভাবে সবার মিলিত প্রচেষ্টাতেই ২০৪৭ সালের মধ্যে একটি শক্তিশালী, উন্নয়নশীল এবং অন্তর্ভুক্ত ভারত গঠনের স্বপ্ন পূরণ হবে ৷ এই লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ মানুষের জীবনে সুখ-শান্তি নিয়ে আসুক, কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ভোর থেকে কলকাতাজুড়ে কুয়াশার চাদর ৷ দু ফুট থেকে আড়াই ফুটের দূরত্বে কিছু ভালোভাবে দেখা যাচ্ছে না ৷ এই অবস্থাতে লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠকে কেন্দ্র করে ব্রিগেডে হাজির সনাতনীরা ৷ এতদিন ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড সাক্ষী থেকেছে একাধিক বড় সমাবেশের ৷ রাজনীতির মহাযজ্ঞে ব্রিগেডে উড়েছে বামপন্থী ডানপন্থী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পতাকা ৷তবে এদিন শীতের সকালে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড দখল নিল শুধুই গেরুয়া ওম লেখা পতাকা ৷ ভোর পাঁচটা থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধু সন্তরা ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডের অভিমুখে আসতে শুরু করেন ৷ সকাল 10টায় রীতিমতো ভিড় চোখে পড়ছে ৷ আজকের এই কর্মসূচিতে হাজির থাকার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ৷ কিন্তু অন্য কাজ থাকায় তিনি হাজির হতে পারেননি ৷মূল কর্মসূচি শুরু হতে এখনও খানিকটা সময় বাকি আছে। মাঝে মাঝে আগত সাধু সন্তরা শঙ্খ সিঙ্গা বাজাচ্ছেন ৷ গোটা ব্রিগেডজুড়ে অন্য আমেজ ৷ এই মুহূর্তে ক্রিসমাস কার্নিভাল চলছে শহরে ৷ ব্রিগেড থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে রীতিমতো ভিড় বাড়াচ্ছেন উৎসব প্রেমী বাঙালিরা ৷ এদিন গীতা পাঠের আসরের মঞ্চে থাকবেন শংকরাচার্য থেকে শুরু করে একাধিক সাধু-সন্ত ৷ এদিন ব্রিগেডে প্রথম পাঁচটি অধ্যায় পড়া হবে ৷ আজ সকাল ১১টা থেকে সঙ্গীতের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে অনুষ্ঠান ৷ খোল-কর্তাল, ধামসা, মাদল বাজিয়ে শোভাযাত্রা হবে ৷ ইতিমধ্যে বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের সাধুরা ব্রিগেডে এসেছেন ৷ গতকাল রাতেই ব্রিগেডের কর্মসূচি নিজের চোখে ভালো করে খতিয়ে দেখেছেন বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতারা ৷ জানা গিয়েছে, এই অনুষ্ঠান গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বুকে স্থান পাবে ৷ বেজে উঠবে ৫০ হাজার শঙ্খ ৷ এই ঘটনাও বিশ্ব রেকর্ড হবে বলেই খবর ৷