দেশ

GDP দ্বিগুণ হয়েছে, গরিবদের কথা মাথায় রেখেই এবারের বাজেট, হবে আধুনিক ভারতঃ প্রধানমন্ত্রী

বাজেট নিয়ে সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা। এদিন বাজেট নিয়ে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন ওই অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী ৷ সেখানে তিনি জানান, এবারের বাজেটে এমন কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যা ভারতকে আধুনিকতার পথে নিয়ে যাবে ৷ ভারতকে আত্মনির্ভরত হতে হবে এবং আধুনিক ভারত গড়তে হবে ৷ এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ৷ আর এই ধরনের সিদ্ধান্ত গত সাত বছর ধরে বারবার নেওয়া হচ্ছে ৷ যার জেরে ভারতের অর্থনীতি ক্রমশ এগিয়ে চলেছে ৷’ দেশবাসীর উদ্দেশে তিনি জানান, ১০০ বছরে সবথেকে বড় মহামারির সঙ্গে লড়ছে দেশ। করোনাকালের আগের বিশ্ব এবং পরের বিশ্ব আলাদা। নতুন সংকল্প নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। দেশকে আত্মনির্ভর করতে হবে। এটাই তার আদর্শ সময়। আধুনিক ভারত গড়ার লক্ষ্যে কেন্দ্রের এই বাজেট। আগের সমস্ত নীতিগত ত্রুটি শোধরানো হচ্ছে। কেন্দ্রের বাজেটে অর্থব্যবস্থা মজবুত হবে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী জানান, সীমান্ত সুরক্ষা আরও বাড়াতে হবে। পার্বত্য এলাকায় জাতীয় রোপওয়ে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড প্রাকৃতিক কৃষি করিডোর। বাজেটে কৃষকদের সুবিধার্থে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। গরিবদের কথা মাথায় রেখেই এবারের বাজেট বলে পর্যালোচনায় বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, গত ৫ বছরে ৩ কোটি পাকা বাড়ি হয়েছে। অধিকাংশ বাড়িই মহিলাদের নামে নথিভুক্ত। কারণ মহিলাদের আত্মনির্ভর করাই আমাদের লক্ষ্য। এই বাজেটে গরিবদের জন্য আরও ৮০ লাখ পাকা বাড়ি তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, ঘরে ঘরে পানীয় জল পৌঁছনোর লক্ষ্যে দ্রুততার সাথে কাজ চলছে। একইসঙ্গে আরও জানান, সীমান্তবর্তী গ্রামগুলির স্কুলে NCC কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। সেখানকার পড়ুয়াদের NCC প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কারণ, দেশ সুরক্ষার থেকে বড় কিছু হতে পারে না। মোদী বলেন, করোনার পর বিশ্বজুড়ে অনেক পরিবর্তন আসবে। ভারতের গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি পাবে। অতিমারীর বিরুদ্ধে লড়েছে গোটা দেশ। এবার আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর সময়। আজ গোটা বিশ্ব ভারতকে সম্মানের চোখে দেখে। গোটা বিশ্ব ভারতকে আরও শক্তিশালী দেখতে চায়। ভারতকে আত্মনির্ভর করার এটাই আদর্শ সময়। আত্মনির্ভর, আধুনিক ভারত গড়তে হবে। করোনাকালে ভারতের অর্থনীতি আরও সুদৃঢ় হয়েছে। এবারের বাজেট অর্থনীতিকে আরও গতি দেবে। প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ গত ৭ বছরে কয়েক গুণ বেড়েছে। গত ৭ বছরে ভারতে রফতানি বেড়েছে। গত ৭-৮ বছরে ভারতের GDP দ্বিগুণ হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার তহবিল রেকর্ড বৃদ্ধি পেয়েছে।