দেশ

‘অন্নদাতাদের সঙ্গে এই ব্যবহার দুঃখজনক’, গাজিপুর সীমান্তে সৌগত সহ ১৫ জন বিরোধী সাংসদকে আটকাল পুলিশ

বিক্ষোভরত কৃষকদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হলেন বিরোধী দলের সাংসদরা। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়-সহ ১৫টি বিরোধী দলের সাংসদ আজ সকালে যান গাজিপুর সীমানায়। বিক্ষোভরত কৃষকদের সঙ্গে যে ব্যবহার করা হচ্ছে, তা দুঃখজনক বলে তোপ দেগেছেন বিরোধীরা। সৌগত রায় বলেন, ‘আমরা গাজিপুর সীমানায় এসেছিলাম। পুলিশ আমাদের সঙ্গে অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করেছে। আমাদের আটকে দেওয়া হয়েছে। এখন ফিরে যাচ্ছি। বিষয়টি সংসদে তুলব।’ সীমানার বেশ কিছু আগেই আটকানো হয় সৌগতদের। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ দেখা করতে না দেওয়া ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন হরসিমরৎ-ও। বলেন, ‘কৃষকদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছি, যাতে সংসদে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা যায়। কিন্তু স্পিকার বিষয়টি উত্থাপন করতে দিচ্ছেন না আমাদের। তাই আমরা পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে এসেছি।’ এনসিপি সাংসদ সুপ্রিয়া সুলের বক্তব্য, ‘কৃষকদের পাশে আমরা। তাঁরা যাতে সুবিচার পান, সরকারকে কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসার আর্জি জানিয়েছি।’ বৃহস্পতিবার সকালে মোট ১৫ জন বিরোধী নেতা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করতে যান। কিন্তু পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয় তাঁদের। এ দিন শিরোমণি অকালি দলের হরসিমরত কৌর বাদল  লেখেন, ”গাজিপুর সীমানায় যে পরিস্থিতি তৈরি হল তা প্রত্যক্ষ করলাম। অন্নদাতাদের সঙ্গে যে ব্যবহার করা হচ্ছে, তা দুঃখজনক। যুদ্ধক্ষেত্রের মতো ব্যারিকেড ও কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে কৃষকদের। এমনকি বিক্ষোভস্থলে অ্যাম্বুল্যান্স ও দমকলও ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।” তিনি আরও বলেন, ”সংসদে যাতে আমরা এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চালাতে পারি, সে জন্যই এখানে এসেছি। স্পিকার আমাদের এই বিষয়টি তুলতেই দিচ্ছেন না। এখানে কী হচ্ছে তার সবিস্তার রিপোর্ট এ বার দেবে সব রাজনৈতিক দল।” উল্লেখ্য, গাজিপুরের সীমানা রীতিমতো ঘিরে রেখেছে নিরাপত্তারক্ষীরা। কৃষকদের রুখতে ৩১ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী এবং ১৬ কোম্পানি র‌্যাফ নিয়োগ করা হয়েছে।