ক্রাইম

মহারাষ্ট্রের রত্নগিরিতে নার্সিং ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় ৩ জনকে আটক করল পুলিশ

রত্নগিরিতে ১৯ বছর বয়সী নার্সিং ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় ৩ জনকে আটক করল মহারাষ্ট্র পুলিশ। তবে ধৃতদের পরিচয় জানানো হয়নি। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ইতিমধ্যেই নির্যাতিতার জবানবন্দী রেকর্ড করেছে পুলিশ। এদিকে অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসী। জানা গিয়েছে, দেবরুখ থেকে অটোয় ফিরছিলেন তরুণী। অভিযোগ, সেই সময় জলে মাদক মিশিয়ে তাঁকে দেন অটোচালক। তা খেয়েই জ্ঞান হারান তরুণী। এরপর তাঁকে ধর্ষণ করে ঘটনাস্থল থেকে পালায় অটোচালক। তরুণী জানিয়েছেন, রত্নগিরিরর চম্পক ময়দানের কাছে একটি জঙ্গলে জ্ঞান ফেরে তাঁর। ঘটনাস্থলে তাঁর ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ছড়িয়েছিটিয়ে পড়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে বোনকে ফোন করে ঘটনার কথা জানান তিনি। এরপর হেঁটে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে প্রধান সড়কে ওঠেন। সেখান থেকে একটি টু-হুইলারে চেপে ভাড়া বাড়িতে পৌঁছন। ঘটনার পর জেলা সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তরুণীকে। সেখানেই পুলিশকে পুরো ঘটনার বিবরণ দেন তিনি। পিটিআই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার এক মহিলা পুলিশ অফিসার তরুণীর সঙ্গে কথা বলেন। এরপর অভিযোগ দায়ের হয়। তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে রত্নগিরি সিটি থানায় অজ্ঞাতপরিচয় অটোচালকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রুজু করা হয়েছে। ধর্ষণ মামলার তদন্তে একজন ইন্সপেক্টরের নেতৃত্বে দশজনের টিম তৈরি করা হয়েছে। তবে নির্যাতিতার বক্তব্যে কিছু অমিল পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে তিনি জানিয়েছিলেন, অভিযুক্ত তাঁর জলে মাদক মিশিয়ে দিয়েছিল। পরে বয়ান পাল্টে তিনি বলেন, তাঁকে অজ্ঞান করতে স্প্রে করা হয়েছিল। পিটিআই-কে এমনটাই জানিয়েছেন এক পুলিশ অফিসার।