আজ শহরে রাজ্য সরকারের দুর্গাপুজোর কার্নিভাল। এর পালটা আরজিকরের বিচার চেয়ে দ্রোহের কার্নিভাল ডাক দিয়েছে জুনিয়র ডাক্তাররা। এই একটি আনন্দের এবং অন্যটি প্রতিবাদের। জোড়া কার্নিভালে যাতে সাধারণ মানুষকে কোনও রকম বিপদের মধ্যে না পড়তে হয় এবং কোনও অশান্তি যাতে না ঘটে সে কারণে ধর্মতলা চত্বরের আশেপাশের কিছু এলাকায় ১৬৩ ধারা জারি করল কলকাতা পুলিশ। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা আইনের ১৬৩ ধারা অনুযায়ী এই এলাকাগুলিতে পাঁচ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না।একদিকে রেড রোডে অনুষ্ঠিত হবে দুর্গাপুজোর কার্নিভাল যেখানে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, তার পাশেই রাণী রাসমণি রোডে জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরসের ঘোষিত দ্রোহ কার্নিভাল হওয়ার কথা। এর অনুমতি দেয়নি কলকায়া পুলিশ। অশান্তি এড়াতে এদিন ১৬৩ ধারা জারি করেছেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা। এর আগে এই দ্রোহ কার্নিভাল প্রত্যাহারের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। কিন্তু চিকিৎসক সংগঠনের তরফে তাঁকেও কার্নিভালে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। আন্দাজ করা যাচ্ছে, একাধিক চিকিৎসক সংগঠনের পাশাপাশি, এদিন দ্রোহ কার্নিভালে উপস্থিত থাকতে পারেন সাধারণ মানুষও। ফলে, ধর্মতলা চত্বরে প্রচুর মানুষের ভিড় হওয়ার সম্ভাবনা। কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ডোরিনা ক্রসিং থেকে পশ্চিমে নেতাজি মূর্তি পর্যন্ত রাণী রাসমণি রোডে জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা। নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, মেট্রো চ্যানেলের পিছন দিক থেকে জওহরলাল নেহরু রোডের ধার বরাবর ডোরিনা ক্রসিং ওয়াই চ্যানেলে। পাঁচ জনের বেশি জমায়েতে না করা হয়েছে নিউ রোডেও। জমায়েত নিষিদ্ধ মেয়ো রোড এবং আউটরাম রোডেও। একই রকম ভাবে জমায়েতে কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস থেকে এজেসি বোস রোডের সংযোগস্থল পর্যন্ত, জওহরলাল নেহরু রোড, কুইনস্ ওয়ে এবং স্ট্র্যান্ড রোডে। এদিন সকাল থেকেই এই জায়গাগুলিতে পড়ে গিয়েছে ব্যারিকেড। পাশাপাশি, বাড়ানো হয়েছে পুলিশি নিরাপত্তা।