মুম্বই এবং সংলগ্ন অঞ্চলের বেশিরভাগ স্থানেই বিদ্যুং সংযোগ ফিরে এসেছে। কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী আরকে সিং একথা জানিয়ে বলেছেন, ২০০০ মেগাওয়াট ঘাটতি হয়েছিল। তার মধ্যে এখন ১৯০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎই ফিরে এসেছে। বাকি এলাকাতেও বিদ্যুৎ দ্রুত ফিরবে। সেজন্য জোরকদমে কাজ চলছে। জাতীয় গ্রিডে কোনও সমস্যা না হলে রাজ্য পাওয়ার গ্রিডে কিছু সমস্যা হওয়ার ফলেই এই বিদ্যুৎ বিপর্যয়। কীভাবে এবং কেন এটা ঘটল তা নিয়ে আলোচনা করতে কেন্দ্রের তরফে একটি দল যাচ্ছে মহারাষ্ট্রের বিদ্যুৎ সরবরাহ কর্তৃপক্ষের কাছে।এধরনের ঘটনা যাতে আর না হয় তা নিশ্চিত করবে দলটি। বলছেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী। বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। টাটার ইনকামিং বিদ্যুৎ সরবরাহ বসে পড়ায় সোমবার সকাল ১০টা থেকে বিশাল বিদ্যুৎ ঘাটতি হয় মুম্বই এবং সংলগ্ন অঞ্চলে। বৃহন্মুম্বই বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং পরিবহন বা বিইএসটি টুইটারে একথা জানায়। বিদ্যুৎ ঘাটতির ফলে শহর এবং শহরতলির স্বয়ংক্রিয় ট্র্যাফিক সিগন্যালিং ব্যবস্থা, পূর্ব এবং পশ্চিম রেল পরিষেবা সব থমকে যায়।তবে বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে স্বাভাবিক ছিল। মধ্য রেলের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলা হয়, পাওয়ার গ্রিড বসে গিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় চার্চগেট থেকে বোরিভলী পর্যন্ত ট্রেন পরিষেবা স্থগিত হয়ে গিয়েছে। তবে সকাল ১১টা নাগাদ সেন্ট্রাল–হার্বার লাইনের ট্রেন পরিষেবা চালু হয়ে যায়। ট্রেন থমকে যাওয়ায় অনেক যাত্রীদের রেলট্র্যাক ধরে হাঁটতে দেখা যায়।