দেশ

বিদ্যুৎ ঘাটতি! কয়লার জোগান দিতে দেশজুড়ে বাতিল একাধিক ট্রেন

তীব্র গরমে দেশজুড়ে বিদ্যুতের চাহিদা সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছেছে। উপরন্তু দেশের বিদ্যুত্‍‍কেন্দ্রগুলিতেও কয়লার ভাঁড়ারে টান পড়েছে। মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব, ঝাড়খণ্ড, বিহার, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ এবং অন্ধ্র প্রদেশ-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে ইতিমধ্যেই পর্যাপ্ত কয়লা না থাকার কারণে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। চলতি এপ্রিলে সারা দেশে বিদ্যুতের চাহিদা রেকর্ড জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তাই দেশের কোনায়-কোনায় থাকা বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলিতে কয়লা পৌঁছে দিতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছে ভারতীয় রেল। আর এই কাজের জেরে কোপ পড়ছে স্বাভাবিক রেল পরিষেবায়। সারা দেশে রেলে কয়লা পরিবহণকে অগ্রাধিকার দিতে গিয়ে ৪২টি ট্রেনের ৭৫৩টি ট্রিপ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলমন্ত্রক। রেলওয়ে এই কয়লার প্রাথমিক পরিবহণকারী। রেল মন্ত্রকের মতে, দক্ষিণ পূর্ব মধ্য রেলওয়ে জোনেই কয়লা উৎপাদনকারী এলাকাগুলি রয়েছে। ওই রুটগুলিতে ৩৪টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। উত্তর রেলওয়ের আওতায়ও অনেকগুলি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে। ওই কেন্দ্রগুলিতে কয়লা সরবরাহের জন্য আটটি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। দক্ষিণ পূর্ব মধ্য রেলওয়ের মোট ৭১৩টি ট্রিপ আগামী ২৫ মে পর্যন্ত বাতিল করা হয়েছে। উত্তর রেলওয়ের ৪০টি ট্রিপ আগামী ৮ মে পর্যন্ত বাতিল করা হয়েছে। একগুচ্ছ এই ট্রেন বাতিলের জেরে প্রাথমিকভাবে ছত্তীসগড়, ওড়িশা, মধ্যপ্রদেশ এবং ঝাড়খণ্ড সহ গুরুত্বপূর্ণ কয়লা-উৎপাদনকারী রাজ্যগুলির যাত্রীরা সমস্যায় পড়বেন। জানা গিয়েছে, ভারতের ১৭৩টি কয়লা-চালিত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের মধ্যে অন্তত ১০৮টি কেন্দ্রে বর্তমানে কয়লার মজুত অত্যন্ত কম। রাজ্যে-রাজ্যে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি। রেকর্ড জায়াগায় পৌঁছেছে বিদ্যুতের চাহিদাও। তারই জেরে ঘাটতি দেখা দিয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে। যদিও কয়লা মন্ত্রকের দাবি, বিদ্যুত কেন্দ্রগুলিতে চাহিদা মেটাতে পর্যাপ্ত কয়লা রয়েছে। উল্লেখ্য, ভারত বিদ্যুতের প্রয়োজনীয়তার প্রায় ৭৫ শতাংশের জন্য কয়লার উপর নির্ভর করে।