দেশ

মোদির শক্তি এবং দুর্বলতা দুটোই হাতের তালুর মতো চেনেন প্রশান্ত কিশোর!

হঠাৎই রাহুল গান্ধির সঙ্গে দেখা করে সারা দেশের চর্চায় প্রশান্ত কিশোর। কেউ মনে করছেন আবার গান্ধীদের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে পারেন প্রশান্ত। কেউ আবার ফুৎকারে সেই তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়ে বলছেন, বিরোধী ঐক্যের সেতুবন্ধনের কাজে নেমেছেন তিনি। শেষমেষ ঠিক কী ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন তিনি তা সময়ই বলবে। একসময় মোদি এবং বিজেপিকে নির্বাচনে সাহায্য করেছিলেন প্রশান্ত কিশোর। সেই প্রশান্ত কিশোরই যেন মোদির পথের কাঁটা হয়ে উঠেছেন। মনে করা হয়, বাংলায় ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানের পালটা ‘খেলা হবে’ তাঁরই মস্তিষ্ক প্রসূত। বিজেপি বিরোধী দলের নেতাদের অধিকাংশই তাই বিজেপিকে ঠেকাতে তাঁর দ্বারস্থ হচ্ছেন। এক টিভি চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে প্রশান্ত কিশোর প্রধানমন্ত্রীর শক্তি এবং দুর্বলতা দুটোই তুলে ধরেছিলেন।  তিনি বলেন, অভিজ্ঞতা হল নরেন্দ্র মোদির সবথেকে বড় শক্তি। প্রথমে আরএসএস-এর হয়ে ১৫ বছর কাজ করেছেন। ফলে তৃণমূল স্তরের সাধারণ মানুষের ‘পালস’ বোঝেন। এরপর সরাসরি রাজনীতিতে কাটিয়েছেন আরও ১৫ বছর। মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী পদে ১৫ বছর কাটিয়ে ফেলেছেন, ফলে তাঁর যা অভিজ্ঞতা আছে, কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে এখন আর কারও নেই। কিশোর এও বলেন, এছাড়াও আরও অনেক শক্তি আছে মোদির, তা নিয়ে একটা বই লিখে ফেলা যায়। কিন্তু মোদির দুর্বলতা কী? সাক্ষাৎকারে নির্বাচনী গুরু বলেন, একথা বলার মতো তার বয়স হয়নি। তবু সবাই এই প্রশ্নই করে যায়। অবশেষে বলেন, নেতা হিসেবে আরও একটু উদার হতে পারতেন প্রধানমন্ত্রী। কিশোর ব্যাখা করে বলেন, উদার বলতে তিনি বোঝাতে চাইছেন আরেকটু ভাল এবং ক্ষমাশীল হওয়া। মোদির এই ‘দুর্বলতা’ কোনও বিরোধী দল বা নেতা কাজে লাগাতে পারবে কি না তা সময়েই বলবে। এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রে তাঁর পরিবর্ত হিসেবে কাউকে ভাবা যাচ্ছে না।