আরজি করে চিকিৎসক-পড়ুয়ার হত্যার ঘটনায় উত্তপ্ত রাজ্য তথা দেশ ৷ এই আবহে ছাত্রীর কাছ থেকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ পেতেই তড়িঘড়ি দিল্লির এক অধ্যাপককে সাসপেন্ড করল কলেজ কর্তৃপক্ষ ৷ ঘটনাটি দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৷ কর্তৃপক্ষ একটি অর্ডার জারি করে অভিযুক্ত অধ্যাপককে সাসপেন্ড করার কথা জানিয়েছে ৷ ওই অর্ডারে জানানো হয়েছে, অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগের তদন্ত করছে অভ্যন্তরীণ কমিটি ৷ তদন্ত শেষ না-হওয়া পর্যন্ত অধ্যাপক সাসপেনশনে থাকবেন ৷ ওই অর্ডার অনুযায়ী, সংস্কৃত (অনার্স) পাঠরতা স্নাতক স্তরের এক ছাত্রী ২৯ অগস্ট একটি মেইল মারফত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ জানান ৷ অধ্যাপক ওই ছাত্রীকে তাঁর চেম্বারে ডাকেন এবং সেখানে তাঁকে অযাচিতভাবে স্পর্শ করেন, যৌন হেনস্তার চেষ্টা করেন, অভিযোগ করেছেন ওই ছাত্রী ৷ অধ্যাপকও সংস্কৃত বিভাগের ৷ ছাত্রীর এই অভিযোগ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ওই অধ্যাপককে সাসপেন্ড করা হয়েছে, জানানো হয়েছে অর্ডারে ৷ সম্প্রতি একের পর এক ধর্ষণ, যৌন হেনস্তার ঘটনার খবর সামনে আসছে ৷ গত 9 অগস্ট আরজি কর হাসপাতালের চারতলায় সেমিনার রুমে চিকিৎসক-পড়ুয়ার উদ্ধার হয় ৷ তাঁকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে বলে খবর ৷ এই ঘটনায় চিকিৎসকরা দেশজুড়ে আন্দোলনে নেমেছেন ৷ পাশাপাশি সমাজের বিভিন্ন পেশা, শ্রেণির মানুষও এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন৷ এই ঘটনার তদন্ত প্রথমে কলকাতা পুলিশের হাতে ছিল ৷ বর্তমানে এর তদন্ত করছে সিবিআই ৷ অন্যদিকে মহারাষ্ট্রের বাদলাপুরে দু’টি নাবালক শিশুকন্যাকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে স্কুলের সাফাইকর্মীর বিরুদ্ধে ৷ এই ঘটনায় উত্তাল রাজ্য ৷ সম্প্রতি এর তদন্তে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করেছে মহারাষ্ট্র সরকার ৷ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ গত সোমবার তাকে বিশেষ পকসো আদালতে পেশ করা হয়েছে ৷ তার 14 দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজত হয়েছে ৷