পুরুলিয়া এক্সপ্রেসকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া হল। যার জেরে ১২৮২৭ এক্সপ্রেসের ডি-৩ কোচের এক যুবক আক্রান্ত হন। রক্তাক্ত মুখে ট্রেনে চিকিৎসা হয়েছিল নাম মাত্র। জানা গিয়েছে, ওই কোচের ৭৩ নম্বর সিট ছিল জানালার ধারে। আর তাতেই ছিলেন ৩০ বছরের ওই যুবক। সময় তখন প্রায় বিকেল ৫টা ৪৮। ঘুমোচ্ছিলেন ওই যুবক। ট্রেন তখন পাকুড়িয়া স্টেশন পেরিয়েছে। সেই সময়েই হয় পাথর আক্রমণ। যার জেরে জানালার কাচ ভেঙে আক্রান্ত হয় ওই যুবক। রক্তাক্ত হয় মুখ। এরপর সহযাত্রীরা টিটিকে খবর দেন। কে পাথর ছুঁড়েছে তার খোঁজ চলছে। অভিযোগ উঠেছে এক্সপ্রেস ট্রেনে ছিল না পর্যাপ্ত প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা। বোরোলিন, কিছু ট্যাবলেট এবং লিউকোপ্লাস্ট দিয়েই কাজ চালানো হয়। আরও অভিযোগ, ছিল না ফাস্ট এইড বক্স। ছিল না তুলোও! সহযাত্রীরাই তুলো দিয়ে সাহায্য করেছিলেন। ট্রেনে প্রাথমিক চিকিৎসা হয়েছিল বলতে শুধু, বোরোলিন দিয়ে তুলো আটকে দেওয়া। জানা গিয়েছে, এরপরে টিটি খড়গপুর কন্ট্রোল রুমে ফোন করেন। ট্রেন খড়গপুর স্টেশনে ঢুকলে চিকিৎসক এসে আক্রান্ত যুবককে নিয়ে যান। করা হয় স্টিচ। যুবক জানিয়েছেন, তিনি কাজে যোগ দিতে পুরুলিয়া যাচ্ছিলেন। সহযাত্রীরা জানিয়েছেন, বাইরে থেকে বাইকে করে কেউ যাওয়ার সময় পাথর ছুঁড়েছিল।