বিদেশ

নেপালের প্রধানমন্ত্রী হলেন মাওবাদী নেতা প্রচণ্ড

এবারেও তার প্রধানমন্ত্রী হওয়াটা যথেষ্ট নাটকীয়।  তিনি ছিলেন নেপালি কংগ্রেসের প্রধান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবার নেতৃত্বে পাঁচ দলের জোটের অন্যতম শরিক। কিন্তু প্রচণ্ড সেই জোট থেকে বেরিয়ে এসে কিছুক্ষণ পরেই কে পি শর্মা ওলির  নেতৃত্বাধীন কমিউনিস্ট পার্টি অফ নেপালের সঙ্গে হাত মেলান। আরো কিছু ছোট পার্টির সমর্থনও তিনি জোগাড় করেন। সোমবার তার দায়িত্ব নেয়ার কথা। প্রচণ্ডের দাবি, ২৭৫ সদস্যের পার্লামেন্টে তার সঙ্গে ১৭০ জনের সমর্থন আছে। সংবাদসংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, প্রচণ্ড ও ওলি ক্ষমতা ভাগাভাগি করের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রচণ্ডের দাবি অনুসারে প্রথমে ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছে ওলিকে। পরের পর্বে তিন প্রধানমন্ত্রী হবেন। একই ফর্মুলা তিনি দেউবাকে দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি রাজি হননি। কিন্তু ওলি রাজি হয়ে যান। তিনি ছোট পার্টির নেতাদের একত্রিত করেন। তাদের নিয়ে প্রচণ্ড প্রেসিডেন্টের কাছে গিয়ে সরকার গঠনের দাবি জানান এবং কিছুক্ষণ পরে তাঁকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ঘোষণা করা হয়।