নরেন্দ্র মোদি সরকারকেই এ বার ‘Anti-Constitutional’ বলে বিঁধলেন কংগ্রেস নেতা তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। নেপথ্যে, ইউপিএসসি-র চাকরিতে পরীক্ষা ছাড়াই সরাসরি নিয়োগের খবর। নানাবিধ মন্ত্রকের ১০ জন যুগ্ম সচিব এবং ৩৫ জন ডিরেক্টর বা উপ-সচিবের মতো ৪৫টি বিশেষ পদে ল্যাটারাল এন্ট্রির কথা জানিয়েছে কেন্দ্র। এই সব পদে নিয়োগ হয় মূলত আইএএস, আইপিএস, আইএফএস থেকে। আচমকা ব্যতিক্রম কেন? এই প্রশ্ন তুলে রাহুলের তোপ- ‘এ ভাবে এসসি, এসটি, ওবিসি কোটার চাকরি ছিনিয়ে নিয়ে নিজেদের লোক ঢোকাতে চাইছে বিজেপি।’ এমনকী, ইউপিএসসি-র বদলে বিজেপি এবার সঙ্ঘকে দিয়ে আমলা নিয়োগ করাচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি। রাহুলের অভিযোগ, মুখে ‘সব কা বিকাশ’ স্লোগান দিলেও কেন্দ্রে বিজেপির সরকার কোনও দিনই পিছিয়ে পড়া মানুষদের উঠতে দেয়নি। তাঁর কথায়, ‘দেশের বড় বড় আমলার চাকরিতে সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশের প্রতিনিধিত্ব না-থাকা নিয়ে আমি আগেও বহু বার বলেছি। সেই অবস্থার পরিবর্তন করা তো দূরের কথা, এই সরকার উল্টে তাঁদের কোটায় থাবা বসিয়ে সরাসরি নিয়োগের নামে স্বার্থপূরণেরক খেলায় নেমেছে। এই পদক্ষেপ দেশদ্রোহের সামিল। সমাজের পিছিয়ে পড়া মেধাবী নাগরিকদের প্রতি এটা সামাজিক অন্যায় ছাড়া আর কিছু নয়।’ সরকার অবশ্য ইউপিএসসি-কে দিয়ে এই সংক্রান্ত বিজ্ঞাপনে বলিয়েছে— বিশেষ পদে নিয়োগ একেবারেই চুক্তিভিত্তিক। এ ক্ষেত্রে ‘ফ্রেশ ট্যালেন্ট’ এবং ‘স্পেসালাইজ়ড নলেজ’-কে প্রাধান্য দেওয়া প্রধান লক্ষ্য বলেও দাবি ইউপিএসসি-র। রাহুলের তবু তোপ— ‘সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সব পজিশনে কর্পোরেটের লোক ঢোকালে কী অবস্থা হয়, সেটা তো আমারা সেবি-কে দিয়েই হাড়ে-হাড়ে টের পাচ্ছি।’ ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের দাবি, হিন্ডেনবার্গের সাম্প্রতিক রিপোর্টে সেবি-র চেয়ারপার্সন মাধবী পুরী বুচ-এর নাম জড়ানোকেই এ ভাবে নিশানা করলেন রাহুল। তাঁর মতো ‘বিজেপির অভিসন্ধি’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট মল্লিকার্জুন খাড়গেও। এক্স হ্যান্ডলে তাঁর তোপ— ‘তফসিলি জাতি, উপজাতিদের ছেঁটে ফেলার মতো করেই এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার ডিজ়াইন করেছে বিজেপি।’ বিজেপি সরকারের এই পদক্ষেপকে নিশানা করেছে সমামজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টির মতো বিরোধী দলও।