পূর্ব রেলের সদর দপ্তর নিউ কয়লাঘাটা বিল্ডিংয়ে অগ্নিকাণ্ডের জেরে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৯। মৃতদের মধ্যে দু’জন রেলকর্মী, চারজন দমকলকর্মী, একজন হেয়ার স্ট্রিট থানার এএসআই । বাকি দু’জনের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে । কয়লাঘাটার রেলের ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মানচিত্র না পাওয়ার যে অভিযোগ তুলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা স্বীকার করে নিল রেল। তবে পাশাপাশি তারা এটাও দাবি করেছে, ঘটনাস্থলে রেলের আধিকারিকরা ছিলেন এবং তাঁরা সহযোগিতা করেছেন। পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার মনোজ জোশী সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে বলেন, ‘ঘটনাস্থলে রেলের আধিকারিকরা ছিলেন। সেই মুহূর্তে হয়তো মানচিত্র পাওয়া যায়নি। কিন্তু রেলের কর্মী যাঁরা ছিলেন ভবনের কোথায় কী রয়েছে, তাঁরাই সে বিষয়ে উদ্ধারকারীদের সহযোগিতা করেছেন।’ সোমবার রাত রাত ১১ টা ৩০মিনিট নাগাদ ঘটনাস্থলে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পর রেলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি বলেন, ‘এটা পুরোটাই রেলের জায়গা। কিন্তু এখনও তাঁরা কেউ আসেননি। দমকলের পক্ষ থেকে একটা মানচিত্র চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটা দেওয়া হয়নি।’ যদিও এর পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, দুর্ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করতে চান না। তিনি আরও বলেন, ”খুবই দুঃখজনক ঘটনা। মৃতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপুরণ ছাড়াও পরিবারের এক জনকে সরকারি চাকরি দেওয়া হবে।” অন্যদিকে রাজ্য সরকার তদন্ত করলে রেলের তরফে সবরকম সাহায্য করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন ইস্টার্ন রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার ৷ অগ্নিকাণ্ডের পর উদ্ধারকাজ ও অন্যান্য ক্ষেত্রে রাজ্যের সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করে চলা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন রেলমন্ত্রী পীযুষ গোয়েলও ৷ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিল দমকল। অগ্নিকাণ্ডের পরেও ওই ভবনে কীকরে বিদ্যুত্ সংযোগ সচল ছিল তানিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এদিকে, ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আহতদের দ্রুত সুস্থ কামনা করেছেন মোদী। সেইসঙ্গে মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর।