দেশ

ধর্মীয় পর্যটনে জোয়ার আনতে ১৭ দিনের জন্য ‘শ্রী রামায়ণ যাত্রা’

ধর্মীয় পর্যটনে জোয়ার আনতে এই প্রকল্প হাতে নিয়েছে ভারত সরকার ৷ তারই আওতায় এবার ১৭ দিনের জন্য ‘শ্রী রামায়ণ যাত্রা’র আয়োজন করছে আইআরসিটিসি ৷ বাতানুকূল ডিলাক্স কামরায় দেশের নানা প্রান্ত ঘোরানো হবে যাত্রীদের। আগামী ৭ নভেম্বর দিল্লির সফদরজং রেল স্টেশন থেকে শুরু হবে এই শ্রী রামায়ণ যাত্রা ৷ রামায়ণের বর্ণনা অনুসারে ভারতের যে জায়গাগুলির সঙ্গে রামের সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করা হয়, সেই সব জায়গাই যাত্রীদের ঘোরানো হবে রেলপথে ৷ পুরোটা ঘুরতে সময় লাগবে ১৭ দিন ৷ যাত্রাপথের মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৭ হাজার ৫০০ কিলোমিটার ৷ এই সফরে যাঁরা যোগ দেবেন, তাঁদের অযোধ্য়ায় রাম জন্মভূমি এবং হনুমান মন্দির ঘুরিয়ে দেখানো হবে ৷ এছাড়া, নন্দীগ্রামে বলরামের মন্দিরেও যেতে পারবেন তাঁরা ৷ অযোধ্যার পর এই বিশেষ ট্রেনের পরবর্তী গন্তব্য হবে বিহারের সীতামারি ৷ এখান থেকে সড়কপথে যাত্রীদের নেপালের জনকপুরের রাম-জানকী মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হবে ৷ রামভক্তরা এই স্থানকেই সীতার জন্মভূমি বলে বিশ্বাস করেন ৷ সীতামারি থেকে ট্রেন পৌঁছবে বারাণসী ৷ পর্যটকরা বারাণসী, প্রয়াগ, শ্রীংভেরপুর এবং চিত্রকূটের সমস্ত মন্দির ঘুরে দেখার সুযোগ পাবেন ৷ সড়কপথে তাঁদের এইসব জায়গা ঘুরিয়ে দেখানো হবে ৷ বারাণসী, প্রয়াগ এবং চিত্রকূটে পর্যটকদের রাত্রিবাসের ব্যবস্থাও থাকবে ৷ এরপর ট্রেন থামবে নাসিকে ৷ পর্যটকদের ত্রয়ম্বকেশ্বরের মন্দির এবং পঞ্চবটী ঘুরিয়ে দেখানো হবে ৷ নাসিকের পর ট্রেন পৌঁছে যাবে হাম্পিতে ৷ যা রামায়ণে বর্ণিত কিষকিন্ধ্যা শহর বলেই বিশ্বাস করেন ধর্মপ্রাণ হিন্দুরা ৷ তাঁদের মতে, এখানেই জন্ম হয়েছিল রামায়ণের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হনুমানের ৷ এখানে বেশ কিছু মন্দির আছে ৷ সেগুলো ঘুরে দেখার সুযোগ পাবেন দর্শনার্থীরা ৷ এই একই ট্রেনে চড়ে রামেশ্বরমেও পৌঁছে যেতে পারবেন তাঁরা ৷ এটাই হবে শ্রী রামায়ণ যাত্রার শেষ গন্তব্য ৷ এবার আসা যাক যে ডিলাক্স বাতানুকূল কামরায় চড়ে দর্শকরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াবেন তার কথায় ৷ রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ট্রেনে থাকছে দু’টি অত্যাধুনিক ফাইন ডাইনিং রেস্তরাঁ, একটি বিশাল রান্নাঘর, শাওয়ার-সহ স্নানঘর, সেন্সরে সাড়া দেয় এমন শৌচালয়-সহ নানা পরিষেবা ৷ ফার্স্ট এসি এবং সেকেন্ড এসি কামরায় ভাগ করে পর্যটকদের থাকার এবং ঘোরার ব্যবস্থা থাকবে ৷ নিরাপত্তার জন্য থাকবে অসংখ্য সিসি ক্যামেরা ৷ তবে, এত কিছু পেতে হলে পকেটের রেস্তও খসাতে হবে ভালই ৷ ফার্স্ট এসি কামরায় জন প্রতি এই যাত্রার খরচ ১ লক্ষ ২ হাজার ৯৫ টাকা ৷ আর সেকেন্ড এসি কামরায় চড়তে গেলে এক-একজনকে দিতে হবে ৮২ হাজার ৯৫০ টাকা ৷ যাবতীয় কোভিডবিধি মেনেই যাত্রীদের ট্রেনে সওয়ার হতে হবে ৷ ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য টিকার ২টি ডোজ এক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক ৷