রাজস্থান রয়্যালস- ১৪৮/৭ (যশস্বী জয়সওয়াল ৩৯, তানুষ কোতিয়ান ২৪, রিয়ান পরাগ ২৩)
পঞ্জাব কিংস- ১৪৭/৮ (জিতেশ শর্মা ২৯, আশুতোষ শর্মা ৩১, লিভিংস্টোন ২১, মহারাজ ২২/২)
ব্যাটিং ব্যর্থতার জেরে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে ৩ উইকেট হার হল পঞ্জাব কিংসের। ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালস টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। আর শুরু থেকেই পঞ্জাবের ব্যাটিং ডিপার্টমেন্টকে যথেষ্ট দুর্বল দেখায়। এই ম্যাচে শিখর ধাওয়ান খেলেননি। তাঁর বদলে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন স্যাম কারেন। কিন্তু, টপ অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতার মুখে তাঁরও কিছু করার ছিল না। তবে ডেথ ওভারে পঞ্জাবের ব্যাটাররা কিছুটা হলেও ভালো পারফরম্যান্স করেছে। ৬ ওভারে এসেছে ৭২ রান। সৌজন্যে লিভিংস্টোন এবং জীতেশের ব্যাটিং। তবে এই ম্যাচে পঞ্জাবের ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে খেলতে নামেন আশুতোষ। তিনিও রানের গতি কিছুটা সচল করেছিলেন। পঞ্জাবের ইনিংস দেখে একথা বলা যেতেই পারে যে বেয়ারস্টো, কারেন, প্রভসিমরন এবং শশাঙ্কের ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৪৮ রানই তারা তুলতে পারে। রাজস্থান রয়্যালসের প্রথম ইনিংসের কথা বলতে হলে, দলের স্পিনাররা দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন। বিশেষ করে কেশব মহারাজের কথা বলতে হয়। তিনি চার ওভারে মাত্র ২৩ রান দিয়ে দুটো গুরুত্বপূর্ণ উইকেট শিকার করেছেন। প্রভসিমরনকে আউট করেন যুজবেন্দ্র চাহাল। অন্যদিকে, নতুন বল হাতে বরাবরই বিধ্বংসী ট্রেন্ট বোল্ট। শেষ ওভারে তিনি নিজের নার্ভ ধরে রাখেন। এছাড়া আভেশ খান এবং কুলদীপ সেনও যথেষ্ট নজর কেড়েছেন। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে যে উইকেটে পঞ্জাব কিংস খেলেছিল, শনিবার মুল্লানপুরে কিছুটা হলেও কঠিন উইকেট দেখতে পাওয়া গিয়েছে। যদিও এই উইকেটে ১৪৭ রান যে একেবারেই ডিফেন্ডিং হবে না, সেকথা সকলেই জানতেন। এই উইকেটে পঞ্জাব কিংসকে প্রতিটা রানের জন্য লড়াই করতে হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ব্যাট করতে নামে রাজস্থান রয়্যালস। এই ম্যাচের প্রথমার্ধেই যে ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল, তা বলা যেতেই পারে। রাজস্থানের হয়ে ওপেন করতে নেমেছিলেন যশস্বী জয়সওয়াল (২৮ বলে ৩৯ রান) এবং তনুষ কোটিয়ান (৩১ বলে ২৪ রান)। প্রথম উইকেটে এই দুই তরুণ ব্যাটারের মধ্যে ৫০ বলে ৫৬ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ওঠে। এরপর রাজস্থানকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। এই জয়ের ফলে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষেই থাকল রাজস্থান।