ভোটপর্ব মিটতেই রাজ্যের ডিজি পদে ফেরানো হল আইপিএস রাজীব কুমারকে। লোকসভা ভোট ঘোষণার পরেই রাজীবকে ডিজি পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। ডিজি করা হয়েছিল আইপিএস সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়কে। জল্পনা ছিল, লোকসভা ভোট ও উপনির্বাচন মিটলেই তাঁকে ডিজি পদে ফেরানো হতে পারে। সেই জল্পনাই সত্যি হল। সঞ্জয়কেও ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হল ডিজি (দমকল) পদে। লোকসভা ভোটের মাস তিনেক আগেই রাজীবকে ডিজি পদে বসিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে ভোট ঘোষণার পর তাঁকে ডিজি পদ থেকে সরায় কমিশন। এত দিন রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের সচিবের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন তিনি। ভোট মিটলে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে অপসারিত অফিসারদের স্বপদে ফিরিয়ে আনাই ‘দস্তুর’। তা মেনে লোকসভা ভোট শেষ হয়ে যাওয়ার পরেই ডিজি পদে ফেরার কথা ছিল রাজীবের। কিন্তু তা না হওয়ায় জল্পনা শুরু হয় বিষয়টি নিয়ে।যদিও প্রশাসনিক মহলের একাংশের যুক্তি ছিল, লোকসভা ভোট মেটার পরে ৫ জুন আদর্শ আচরণবিধি উঠে যেতেই রাজীবকে পুরনো পদে বহাল করতে পারতেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তা হয়নি। কারণ, কলকাতার মানিকতলা-সহ চারটি বিধানসভায় উপনির্বাচন ছিল। ১০ জুন থেকে ফের আদর্শ আচরণবিধি কার্যকর হয়েছিল রাজ্যের সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিতে। সেই কারণেই রাজ্য বা কলকাতা পুলিশের শীর্ষপদে রদবদল করা সম্ভব হয়নি। ১০ জুলাই ভোট মিটেছে। এই ভোট না মেটা পর্যন্ত রাজীবকে ডিজি পদে ফেরানো যাচ্ছিল না। গত শনিবার ভোটের ফল প্রকাশিত হয়েছে। তার পরেই রাজীবের প্রত্যাবর্তন ঘটল ডিজি পদে। তবে প্রশাসনিক সূত্রের বক্তব্য, রাজীবই যে ডিজি পদে ফিরবেন, তা মোটামুটি স্পষ্টই ছিল। তার প্রস্তুতিও আগে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন রাজীব। তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলের বক্তব্য, এটি তাঁর ‘ব্যক্তিগত সফর’। কিন্তু পুলিশ মহলের একাংশের মত, ভোটের পর থেকেই কোচবিহারের দিনহাটা, তুফানগঞ্জ থেকে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া এবং ইসলামপুর- একাধিক জায়গায় গোলমাল ও হিংসার ঘটনা সাড়া ফেলেছে রাজ্যে। ডিজি পদে ফেরার আগে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজখবর করতে গিয়েছেন তিনি। যার ভিত্তিতে রাজ্য সরকারের শীর্ষ স্তরে রিপোর্টও দিতে পারেন।