ঘূর্ণিঝড়ে আমফানে জেরে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলায় কয়েক হাজার গাছ ভেঙে পড়ে । উপরে পড়ে প্রায় ৪৬ হাজার বিদ্যুতের খুঁটি । আগেই উদ্ধারকাজে নেমেছিল বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী । আমফানের আগে থেকেই সুন্দরবন সহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় মোতায়েন ছিল তারা । কিন্তু, ক্ষয়ক্ষতি বেশি হওয়ায় এখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি ৷ এই অবস্থায় জনজীবন স্বাভাবিক করতে সেনার সাহায্য নিল দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা প্রশাসন। রবিবার নামখানা ব্লকের ৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতে কাজে নামেন জওয়ানরা। গাছ কাটা, ভাঙা বিদ্যুতের খুঁটি সরানো মতো যাবতীয় কাজে হাত লাগান তাঁরা ৷ এদিকে, ঝড়ের পর থেকে নামখানা, হরিপুর, হেনরি আইল্যান্ড, মদনগঞ্জের মতো অধিকাংশ এালাকা আজও বিদ্যুৎহীন। যোগাযোগ ব্যবস্থাও স্বাভাবিক হয়ে ওঠেনি ৷ রবিবার থেকেই এলাকা পুনর্গঠনের কাজ শুরু করেছে সেনা। গত সপ্তাহে কাকদ্বীপ প্রশাসনিক ভবনে আমফানের ত্রাণ ও পুনর্বাসন নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই দিনের বৈঠক থেকে জরুরি ভিত্তিতে কিছু নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। সেই মতো শুরু হয়েছে এলাকায় পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ। এদিন কাকদ্বীপ, নামখানা, পাথরপ্রতিমা এলাকার মোড়ে মোড়ে পানীয় জল নেওয়ার ভিড় দেখা গিয়েছে। ভ্রাম্যমান গাড়িতে ট্যাংকের মাধ্যমে এই জল পৌঁছে যাচ্ছে। এখনও সুন্দরবন সহ জেলার বহু অংশ বিদ্যুত্হীন। দ্রুত বিদ্যুত্ পরিষেবা স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছেন জেলা শাসক। টানা ১১ দিন বিদ্যুত্ না থাকায় বয়স্ক ও শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে জানা গিয়েছে, আমফানের ক্ষতিপূরণের টাকা ঢুকতে শুরু করেছে বিপন্ন মানুষদের অ্যাকাউন্টে। ইতিমধ্যেই রামগঙ্গা, নামখানা, কাকদ্বীপের একাধিক বাসিন্দার অ্যাকাউন্টে ২০ হাজার করে টাকা ঢুকেছে।