২০১৬ সালের এসএসসিতে নিয়োগের পুরো প্যানেল বৃহস্পতিবার বাতিল করেছে সুপ্রিমকোর্ট। এক্ষেত্রে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ই বহাল রেখেছে শীর্ষ আদালত। চূড়ান্ত রায়দানের সময় শীর্ষ আদালতও জানিয়ে দেয়, যোগ্য-অযোগ্য বাছাই করা সম্ভব হয়নি। ফলে পুরো প্যানেলই বাতিল করা হল। তবে এ প্রসঙ্গে এবার বড় দাবি করলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি তথা তমলুকের বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন বিচারপতির দাবি, ‘যোগ্য-অযোগ্য বাছাই করা সম্ভব।’ যাঁরা সৎভাবে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন জমা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়েছিল, তা তো দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। যাঁরা অভিযুক্ত, তাদের জেরা করলেই জানা যাবে জালিয়াতি করে কারা চাকরি পেয়েছিলেন।’ গতকাল নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক থেকে নাম না করে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার সকালে এমনটাই দাবি করলেন প্রাক্তন বিচারপতি তথা বর্তমান বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে একটি কমিটি গঠনের আর্জি জানিয়েছেন তিনি। এদিন তৃণমূলকে পালটা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, ‘তৃণমূলের তরফ থেকে আমাদের ফ্রি হ্যান্ড দিক।’ জালিয়াতি করে চাকরি পাওয়ার তালিকা বের করা হবে। যদিও এবিষয়ে তৃণমূলের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। চাকরি বাতিল নিয়ে বৃহস্পতিবার থেকেই উত্তাল রাজ্য়-রাজনীতি। গতকালই সাংবাদিক বৈঠক করে বাম-বিজেপিকে একহাত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। নিশানা করেন কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। বলেন, “কে এক আছেন, বিচারপতি ডাঙ্গুলি না গাঙ্গুলি উনিই প্রথম চাকরি বাতিলের কথা বলেছিলেন। এখন তো আবার বিজেপিতে মনে হয়।” প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের এসএসসি’তে নিয়োগের পুরো প্যানেল গতকাল বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এক্ষেত্রে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ই বহাল রেখেছে দেশের শীর্ষ আদালত। ফলে বাতিল হয়েছে ২৫,৭৫২ জনের চাকরি।
