গাড়ির বাতি নিভল – রাজ্যপাল, বিরোধী দলনেতা ও কলকাতার মেয়রের
দেবাশিস দাস, কলকাতাঃ একের পর এক নীলবাতি ও লালবাতি লাগানো ভুয়ো আধিকারিকের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে রাজ্যজুড়ে। তারই জেরে এবার নতুন নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য সরকার। তাতে দেখা যাচ্ছে শুধুমাত্র ১৪জন পদাধিকারী এই সুবিধে পাবেন। এর আগে এই সংক্রান্ত হাইকোর্টের প্রশ্নের পরেই গত সোমবার ফের একবার পরিবহন দফতর থেকে ২০১৪ সালের নোটিফিকেশন পুনরায় পুলিশকে পাঠিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয় কারা কারা গাড়িতে লাল ও নীল বাতি ব্যবহার করতে পারবেন। ভুয়ো নীল ও লাল বাতির বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াতে আজ সেই নিয়েই নতুন নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য সরকার।২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে পরিবহন দপ্তরের প্রকাশিত অনুরূপ এক নির্দেশিকায় ১৯ ধরনের পদাধিকারী কে গাড়ির ওপরে লাল ও নীল বাতি ব্যবহারের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল। এবার সেই সংখ্যা কমিয়ে ১৪ করা হয়েছে।নতুন নির্দেশিকা থেকে বাদ পড়লেন রাজ্যপাল, বিরোধী দলনেতা, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি, কলকাতার মেয়র ও বিধানসভার অধ্যক্ষ। সূত্রের খবর, পুলিসের এসকর্টে বাতি ব্যবহার করা যাবে। আর রাজ্যপাল, বিরোধী দলনেতা এসকর্ট পান। সেক্ষেত্রে ব্যক্তিগতভাবে তাঁরা বাতি ব্যবহার করতে পারবেন না। এসকর্ট থাকলেই সেটা পাবেন। নতুন তালিকায় মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্য মন্ত্রিসভার মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী থেকে শুরু করে মোট ১৪ ধরনের পদাধিকারীরা তাঁদের গাড়িতে কী ধরনের বাতি ব্যবহার করতে পারবেন তা বলা হয়েছে। রাজ্য পরিবহণ দফতর আজ লাল ও নীল বাতি সংক্রান্ত সেই নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। তাতে নিম্নলিখিত পদাধিকারীদের ক্ষেত্রেই শুধু বাতি ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে।
১) মুখ্যমন্ত্রী সহ রাজ্য মন্ত্রিসভার মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী
২) মুখ্য সচিব
৩) অতিরিক্ত মুখ্য সচিব, প্রধান সচিব
৪) ডিভিশনাল কমিশনার
৫) রাজ্য পুলিশের ডিজি
৬) ডিজি দমকল
৭) আয়কর ও শুল্ক দফতরের কমিশনার
৮) পুলিশের আই জি ও ডি আই জি
৯) প্রতিটি জেলার জেলাশাসক (তাঁদের নিজস্ব এলাকায়)
১০)মিউনিসিপাল কমিশনার
১১) রাজ্য মিউনিসিপাল কমিশনার
১২) বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপার
১৩) সাব ডিভিশনাল অফিসার ও পুলিশের সাব ডিভিশনাল অফিসার
১৪ ) পুলিশের প্যাট্রোল কার