কলকাতা

‘২৯ সেপ্টেম্বর পাড়ায় পাড়ায় উৎসব নয় প্রতিবাদ কর্মসূচী, ‘মহালয়ার দিন মহামিছিলের ডাক’, ফের পথে নামছে জুনিয়র চিকিৎসকরা

আরজিকর কাণ্ডের বিচার চেয়ে উৎসবের মরশুমেও পথে নামার ডাক দিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। মহালয়া এবং অষ্টমীতে রাত দখলের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। শুক্রবার এসএসকেএমের গণ কনভেনশন থেকে তাঁরা আরও গুরুত্ব দিলেন সেই কর্মসূচিকে। মহালয়ার দিন মহা সমাবেশের ডাক দেওয়া হল জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফে। এদিন আর জি করের জুনিয়র ডাক্তার তথা আন্দোলনের অন্যতম মুখ দেবাশিস হালদার জানালেন,  ২ তারিখ মহালয়া। সেদিন তাঁরা মহামিছিলের ডাক দিয়েছেন। তার পর ধর্মতলায় মহাসমাবেশ হবে। দুপুর ১টা থেকে এই কর্মসূচি রয়েছে। শুক্রবারের গণ কনভেনশনে সমাজের সর্বস্তরেন মানুষজনের মতামত সংগ্রহ করেছেন উদ্যোক্তারা। বিচারের দাবিতে সোচ্চার সিনিয়র চিকিৎসকরাও। জুনিয়র ডাক্তাররা জানাচ্ছেন, উৎসবের মতো মানসিকতা তাঁদের নেই। ওই সময়েও তাঁরা বিচারের দাবিতেই সোচ্চার থাকবেন। আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিবাদ কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে, ‘পাড়ায় থাকছি একসাথে, উৎসবে নয় প্রতিবাদে’। আগামী কর্মসূচির বিষয়ে এদিন দেবাশিস, অনিকেত মাহাতোরা জানান, “আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের শুনানির আগেরদিন সন্ধ্যা ৬ টায় সকল মানুষ যাতে অংশ গ্রহণ করতে পারে তাই পাড়ায় থাকছি আন্দোলনে শামিল হওয়ার জন্য সাধারণ মানুষকেও আহ্বান করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।  শুক্রবার দুই নতুন কর্মসূচিকেই আরও বৃহত্তর করে তোলার ঘোষণা করলেন জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদার। যিনি টানা ৫০দিন ধরে আর জি করের তরুণী সহকর্মীর মর্মান্তিক পরিণতির বিচার চেয়ে আন্দোলনের মুখ হয়ে উঠেছেন। দেবাশিসের কথায়, ”উৎসবের মানসিক প্রস্তুতি নেই। সামনে পুজো আসছে। আমরা কাউকে উৎসবে বিরত থাকতে বলতে পারি না। কিন্তু আমরা উৎসবের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত নই।’’ আরজি করে নির্যাতিতার প্রতীকী মূর্তি রাখা হবে বলে প্রস্তাব হল জুনিয়র ডাক্তারদের গণ কনভেনশনে। নির্যাতিতার প্রতীক হিসাবে যন্ত্রণাদীর্ণ নারীমূর্তি রাখা হবে হাসপাতাল চত্বরে। ২ অক্টোবর ওই মূর্তি রাখা হতে পারে।  এদিন কনভেনশনে জুনিয়র ডাক্তাররা অভিযোগ করেন, তাদের আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে। কৎসা রটানো হচ্ছে। আন্দোলন নিয়ে নানা অপপ্রচার চলছে। অনেকে বলছেন, তাঁরা নতুন নতুন দাবি করছেন। কিন্তু তা সঠিক নয়। অপপ্রচার করে কণ্ঠরোধ করা যাবে না। গণ কনভেনশনের মঞ্চ থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিরা বলেন, সেটিং হয়ে গিয়েছে বলে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমাদের শিরদাঁড়া সোজা আছে। আমাদের সাহস একজনের থেকে অন্য জনের কাছে সঞ্চালিত হচ্ছে। ধর্মতলায় মহা সমাবেশ হবে। আবার এই সময়ে ধর্মতলা চত্বরে কোনওরকম মিছিল, সভা, সমাবেশ, জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কলকাতা পুলিশ। ফলে এই নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে ওইদিন জুনিয়র ডাক্তারদের সমাবেশ কতটা শান্তিপূর্ণভাবে হওয়া সম্ভব, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে।