সন্দেশকালিকাণ্ডে আরও একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে গেল। আন্দোলনাকারী মোট ৭২ জন মহিলাকে একবার করে টাকা দেওয়া হয়েছে। সেখানেও মহিলাদের ৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি গঙ্গাধরের। ওই ভিডিয়োয় এমনটাই দাবি করলেন স্থানীয় বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়াল। তবে ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করতে পারেনি বঙ্গনিউজ। বিজেপি নেতা ওই ভিডিয়ো স্বীকার করেন নেন শুভেন্দু অধিকারী তার লোকদের গিয়ে টাকা, মোবাইল পাঠিয়েছে বলেই আন্দোলন হয়েছে। খালি হাতে কিছুই হয় না। গঙ্গাধর কয়াল স্বীকার করে নেন আন্দোলনের জন্য সন্দেশখালিতে ১০ জন লোকও পাওয়া যাবে না, যদি না টাকা দেওয়া হয়। টাকা ছাড়া কেউ কথা বলবে না। সন্দেশখালি ২ ব্লকের বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়াল। তিনি দাবি করছেন টাকা, মোবাইল, মদ ও অন্যান্য আগ্নেয়অস্ত্র সন্দেশখালিতে পাঠানো হয়েছে। ওই ঘটনায় ফের একবার বেকায়দায় বিজেপি। কারণ শুভেন্দু অধিকারীর নাম এখানে উঠে আসছে। যিনি ভিডিও করছেন তিনি বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী টাকা, মোবাইল পাঠাচ্ছে। আর গঙ্গাধর সেই কথা স্বীকার করছেন। এখন ওই ভিডিওর সত্যতা থাকলে তা অত্যন্ত গুরুতর বিষয়। গঙ্গাধরের কথা থেকে যা বোঝ যাচ্ছে আন্দোলনকারী মেয়েদের পেছনে রয়েছে ছেলেরা। কত টাকার মদ লাগবে জানতে চাওয়া হলে বিজেপি নেতা বলেন, “আদিবাসী এলাকায় বেশি লাগে। তফসিলি এলাকায় একটু কম।
তিনটে অঞ্চলে প্রায় ৫০টি বুথ রয়েছে। সন্দেশখালিতে ১০টি বুথ রয়েছে। সেখানে বেশি মদ লাগবে। তাও বুথ প্রতি ৫ হাজার করে ধরুন।” গঙ্গাধর বলছেন তাঁর অস্ত্র লাগবে মণিপুর ও কুড়াকাটির জন্য। সন্দেশখালির জন্য কিছু লাগবে না। কুড়াকাটির জন্য ৩০ ও মণিপুরের জন্য ২০টি পিস্তল লাগবে। যাদের হাতে ওই পিস্তল দেওয়া হবে তারা ওইসব অস্ত্র ব্যবহারে অভ্যস্ত। কাজ হওয়ার পর সব অস্ত্র ফেরত যাবে। কারণ ওই অস্ত্র কারও কাছে পাওয়া গেলে বিপদ। কার্টিজের খোল সংগ্রহ করে ধ্বংস করতে হবে। গঙ্গাধরের আরও বক্তব্য, আপাতত ১ লাখ টাকা হলে কাজ চালিয়ে নেওয়া যাবে। এই ভিডিওতে সন্দেশখালিতে বিজেপির ঘাঁটি শক্ত করতে আরও টাকার দাবি জানাতে শোনা গিয়েছে এলাকার বিজেপি নেতাকে। ৪৬ মিনিট ৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে গঙ্গাধর বলছেন, “সত্যিই খালি হাতে হবে না এ সব। আমরা না হয় দীর্ঘ দিন করে আসছি। আমরা মেনে নিতে পারব। কিন্তু সবাই তা করতে পারবে না। সন্দেশখালিতে এক টাকা ছাড়া তারা কথা বলবে না।” এর পরই আন্দোলন সংগঠিত করতে টাকা দেওয়ার কথা স্বীকার করে গঙ্গাধর বলেন, “আমার এলাকায় ৭২ জন মহিলা টাকা পেয়েছেন।” এছাড়া ১০ টা বাইক, তার তেল খরচ ও ভোট উপলক্ষে এলাকায় মদের ব্যবস্থা করার কথা বলেন ওই বিজেপি নেতা। কত টাকার মদ লাগবে জানতে চাওয়া হলে বিজেপি নেতা বলেন, “আদিবাসী এলাকায় বেশি লাগে। তফসিলি এলাকায় একটু কম। তিনটে অঞ্চলে প্রায় ৫০টি বুথ রয়েছে। সন্দেশখালিতে ১০টি বুথ রয়েছে। সেখানে বেশি মদ লাগবে। তাও বুথ প্রতি ৫ হাজার করে ধরুন।”