‘যৌন বিকারগ্রস্ত’, ‘পশুর মতো প্রবৃত্তি’- সঞ্জয় রাইয়ের মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা করে এমনই মনে করছে সিবিআই। সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের (স্নাতকোত্তরের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া) ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রাইকে যখন জেরা করা হচ্ছিল, তখন তার চোখেমুখে আবেগের লেশমাত্র ছিল না। একেবারে সাধারণভাবে অপরাধের বর্ণনা দিয়েছে বলে সূত্র উদ্ধৃত করে ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে আপাতত সরকারিভাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে কিছু জানানো হয়নি। এমনিতে কলকাতা পুলিশের হাত থেকে তদন্তভার নেওয়ার পরে সিবিআইয়ের হাতে বিভিন্ন তথ্য উঠে এসেছে। সিবিআই সূত্রে খবর, আরজি কর হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে দেখা গিয়েছে যে ৮ অগস্ট সকাল ১১ টা চেস্ট ডিপার্টমেন্টের ওয়ার্ডের কাছে তরুণী চিকিৎসককে দেখা গিয়েছিল। সেইসময় তাঁর সঙ্গে কয়েকজন জুনিয়র ডাক্তার ছিলেন। তখন সঞ্জয় রাই কিছুক্ষণ তাঁদের দিকে তাকিয়ে ছিল। সূত্রের খবর, সেই রাতেই একটা নাগাদ খাওয়ার জন্য ওয়ার্ড থেকে বেরিয়েছিলেন তরুণী চিকিৎসক। সঙ্গে ছিলেন কয়েকজন জুনিয়র ডাক্তার। তারপর চলে গিয়েছিলেন সেমিনার হলে। রাত ২ টো ৩০ মিনিট সেমিনার হলে এক জুনিয়র ডাক্তার ঢুকেছিলেন। তাঁর সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলেছিলেন তরুণী চিকিৎসক। তারপর ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। তারইমধ্যে ভোর ৪টে নাগাদ সঞ্জয় রাইয়েরকে ফের হাসপাতাল চত্বরে ঢুকতে দেখা গিয়েছিল। তদন্তকারীদের ধারণা, সেমিনার হলে গিয়েছিল সঞ্জয়। সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার যাওয়ার আগে কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছিল, তরুণী চিকিৎসকের নখের চলায় যে রক্ত এবং চামড়ার নমুনা পাওয়া গিয়েছে, তা সঞ্জয়ের হাতে থাকা আঘাতের সঙ্গে মিলে গিয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, ময়নাতদন্ত এবং ফরেন্সিক রিপোর্টে যে সব তথ্য উঠে এসেছে, তা মেলানোর চেষ্টা করছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। অন্যান্য বিষয়ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। আজ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ‘স্টেটাস’ রিপোর্ট দাখিল করেছে সিবিআই। তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে শীর্ষ আদালতকে তথ্য দেওয়া হয়েছে সেই রিপোর্টে। যদিও সিবিআই ঠিক কী জানিয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তারইমধ্যে আগামিকাল সঞ্জয় রাইকে নিম্ন আদালতে পেশ করার কথা আছে। ভার্চুয়ালি তাকে আদালতে পেশ করা হতে পারে।