সুপ্রিমকোর্টে স্বস্তি মিলল উদ্ধব ঠাকরের। একনাথ শিণ্ডের গোষ্ঠীকে আসল শিবসেনা বলে যেন নির্বাচন কমিশন স্বীকৃতি না দেয়, এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। সূত্রের খবর, বিষয়টি সাংবিধানিক বে়ঞ্চে পাঠানোর ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্ট আগামী সোমবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কোন গোষ্ঠী প্রকৃত শিবসেনা, তা নিয়ে উদ্ধব ঠাকরে এবং মহারাষ্ট্রের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডের মধ্যে আইনি লড়াই চলছে। এরই মধ্যে শিণ্ডে গোষ্ঠী নির্বাচন কমিশনে চিঠি লিখে জানায়, তারাই প্রকৃত শিবসেনা। কমিশন যেন তাদেরই স্বীকৃতি দেয়। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে তার বিরোধিতা করে পাল্টা চিঠি দেয় কমিশনকে। কিছুদিন আগে শিবসেনার বেশ কয়েকজন একনাথপন্থী সাংসদ লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার সঙ্গে দেখা করে জানান, সংসদে যেন তাঁদেরই স্বীকৃতি দেওয়া হয়। স্পিকার তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি ওই সাংসদদের কাছে জানতে চান, তাঁরা কী চান। উদ্ধব শিবির প্রশ্ন তোলে, স্পিকার এই ধরনের বৈঠক করতে পারেন কি না। বিজেপির মদতে শিবসেনা দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছে। উদ্ধব সরকারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডেকে ভাঙিয়ে নেয় বিজেপি। তাঁর নেতৃত্বে দলের বহু বিধায়ক উদ্ধবের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। তাঁদের প্রথমে গুজরাতের হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে নিয়ে আসা হয় অসমে। বিধানসভায় বিদ্রোহী শিবির সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দেয়। বিজেপি শিণ্ডেকে সমর্থন করে। ফলে শিণ্ডে নতুন মুখ্যমন্ত্রী হন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ হন উপমুখ্যমন্ত্রী। উদ্ধব শিবিরের অভিযোগ, উপমুখ্যমন্ত্রী হলেও দেবেন্দ্রর কথামতোই সরকার চালাচ্ছেন একনাথ। তিনি বিজেপির হাতের পুতুল হয়ে গিয়েছেন। বুধবারই উদ্ধব বলেন, এর আগে বিজেপি শিবসেনাকে ভাঙতে চেষ্টা করেছে। এবার তারা শিবসেনাকে শেষ করতে চায়। কিন্তু আমরা তা হতে দেব না। এই অবস্থায় শীর্ষ আদালতের এদিনের রায় উদ্ধব ঠাকরের গোষ্ঠীকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিল।