মোদি সরকারের আনা পাবলিক পলিসি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক নীতি আয়োগ বাতিল করে যোজনা কমিশনকে ফিরিয়ে আনা উচিত । শুক্রবার দিল্লিতে ফের এই দাবিতে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷শনিবার নীতি আয়োগের বৈঠকে বিরোধী ইন্ডিয়া ব্লকের অধিকাংশ মুখ্যমন্ত্রী না-যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও সেই বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লিতে গিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ৷ ফলে সেই বৈঠকের ঠিক আগের দিন তাঁর এই দাবি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ ৷ বৈঠকে যোগ দেওয়ার পেছনে তাঁর যুক্তি, সাধারণ একটি প্ল্যাটফর্মে বিরোধীদের কণ্ঠস্বর উত্থাপন করা উচিত বলে তিনি অনুভব করেছেন বলেই বৈঠকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৷তাঁর কথায়, “তারা (বিজেপি) সরকার গঠন করেছে, কিন্তু তাদের কাছে জনগণের ম্যান্ডেট নেই । ২০১৪ সাল থেকে বিজেপি আসার পর এই প্রথম তারা একক দল হিসেবে সরকার গঠন করেনি ।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, বিজেপি শাসিত এনডিএ একটি রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত পক্ষপাতদুষ্ট বাজেট এনেছে যা সমস্ত বিরোধী রাজ্যকে বঞ্চিত করে ৷ মমতার কথায়, “আমি ভেবেছিলাম অন্তত একটি সাধারণ প্ল্যাটফর্মে এই আওয়াজটি তোলা আমার কর্তব্য ৷ যদিও আমি জানি নীতি আয়োগের আর্থিক ক্ষমতা নেই ৷ নীতি আয়োগকে আমি একটিও কাজ করতে দেখিনি কারণ তাদের কোনও ক্ষমতা নেই । আগে পরিকল্পনা কমিশন ছিল । একজন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে.. সেই সময়ে আমি দেখেছিলাম সেখানে একটি ব্যবস্থা ছিল ৷” মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য এ দিন দাবি করেছেন, ‘ইন্ডিয়া জোটের মধ্যে কোনও সমন্বয়ের অভাব নেই৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যদি আগে থেকে জানাতো হত বাকিরা বয়কট করছে, ‘নীতি আয়োগের বৈঠক নিয়ে অন্যরকম ভাবতাম৷ ইন্ডিয়া জোটে সমন্বয়ের কোনও অভাব নেই। প্রতিদিন লোকসভায় জোটের বৈঠক হচ্ছে। মত বিনিময় হচ্ছে৷’ মুখ্যমন্ত্রী আরও দাবি করেছেন, আগামী দিনে যে রাজ্যগুলিতে ভোট রয়েছে, সেখানেও ভাল ফল করবে জোট। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, রাজ্য সরকারগুলির যোজনা কমিশনের অধীনে নিজেদের সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনা করার ক্ষমতা ছিল এবং এটি বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাজ্যগুলির যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে খুব ভালো ছিল । কিন্তু এখন আর সেই সুযোগ নেই বলে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর ।সেই কারণে নীতি আয়োগ বাতিল করার পক্ষে সরব হয়ে তিনি বলেন, “আমি আমার আওয়াজ তুলব যে, এই নীতি আয়োগ বন্ধ হোক । তাদের কোনও আর্থিক প্রভাব নেই । তারা কিছুই করতে পারে না, শুধু মুখ দেখানোর জন্য বছরে একবার বৈঠক করে । অনুগ্রহ করে পরিকল্পনা কমিশনকে আবার ফিরিয়ে আনুন ৷ এটি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর একটি পরিকল্পনা ছিল এবং স্বাধীনতার পর থেকে যোজনা কমিশন দেশের জন্য অনেক কাজ করেছে ৷”