দেশ

‘সব মিথ্যা’, হিন্ডেনবার্গের দাবি অস্বীকার করলেন সেবি প্রধান মাধবী বুচ

হিন্ডেনবার্গের বিস্ফোরক দাবি উড়িয়ে দিলেন সেবি চেয়ারপার্সন। রতে শেয়ার বাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়ার স্বশাসিত ও নিরপেক্ষ ভূমিকা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলেছে মার্কিন সংস্থা। হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ জানিয়েছে, সেবির বর্তমান চেয়ারপার্সন মাধবী বুচ এবং তাঁর স্বামীর আদানির অফশোর কোম্পানিতে অংশীদারিত্ব রয়েছে। যদিও সেই দাবি সাফ নাকচ করে দিয়েছেন তাঁরা। দেশজুড়ে চলা তোলপাড় এবং বিরোধীদের একের পর এক কটাক্ষের মাঝে হিন্ডনবার্গের দাবি খারিজ করে মাধবী বুচ এবং তাঁর স্বামী ধবল বুচ জানিয়েছেন, তাঁদের চরিত্র হননের চেষ্টা চলছে। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে দম্পতি বলেছে, ‘আমরা হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের সব অভিযোগ অস্বীকার করছি। এই দাবিগুলি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমাদের জীবন এবং টাকাপয়সার লেনদেন খোলা বইয়ের মতো। সেবিতে এত বছর ধরে কাজ করার ফলে সব আর্থিক লেনদেনই প্রকাশ করতে হয়েছে। কিছুই গোপন নেই।’ সেবা কর্তার বক্তব্য, ‘কোনও আর্থিক লেনদেনের নথি প্রকাশ্যে আনতে আমাদের কোনও দ্বিধা নেই। আমরা যখন সাধারণ নাগরিক ছিলাম এবং সেবির সঙ্গে কোনও সম্পর্কেই ছিল না, সেই সময়ের আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত নথিও দরকারে প্রকাশ করতে পারি। যে কোনও তদন্তকারী সংস্থাও তা দেখতে চাইলে আমাদের অসুবিধা নেই।’ মাধবী বুচ আরও বলেন, ‘আমরা পরবর্তী সময়ে এই নিয়ে আরও বিস্তারিত ভাবে জানাব। স্বচ্ছতা বজায় রাখার স্বার্থেই তা করা হবে। হিন্ডেনবার্গের এই রিপোর্ট আমাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা ছাড়া আর কিছু নয়।’

মার্কিন বেসরকারি সংস্থা হিন্ডেনবার্গের দাবি, ভারতে উপার্জিত অর্থের উপর করফাঁকি দিতে বিদেশে সংস্থা (অফশোর) রয়েছে আদানির। সেই কোম্পানিতে অংশিদারিত্ব রয়েছে সেবি প্রধানের। গত বছর জানুয়ারি মাসে ঠিক একইভাবে একটি রিপোর্ট প্রকাশ্যে এনেছিল এই হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের। সে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, আদানি কী ভাবে কর ফাঁকি দিয়ে বিদেশে কোম্পানি খুলে টাকা সরিয়েছে। সেই অভিযোগের তদন্ত ভার দেওয়া হয়েছিল সেবির উপর। এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টেরও নির্দেশ ছিল। এবার সেই সেবির বিরুদ্ধেই উঠল বড়সড় প্রশ্ন।