মহারাষ্ট্রের জলগাঁওয়ে রেল দুর্ঘটনায় কমপক্ষে 11 জনের মৃত্যু ৷ বুধবার বিকেলে পুষ্পক এক্সপ্রেসে আগুন লাগার গুজব ছড়িয়ে পড়লে যাত্রীদের কেউ কেউ চেন টেনে ট্রেন থামিয়ে দেন ৷ ট্রেন থামতেই অনেকে নেমে পড়েন ৷ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। সেই সময় পাশের লাইন দিয়ে দ্রুতগতিতে আসা কর্ণাটক এক্সপ্রেস তাঁদের বেশ কয়েকজনকে ধাক্কা মারে ৷ ডিআরএম ভুসাওয়াল ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন ৷ 11 জনের মৃত্যুর পাশাপাশি আরও অনেক যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন বলে খবর ৷ রেল সূত্রে খবর, এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর মহারাষ্ট্রের জলগাঁও জেলার অন্তর্গত পাচোরা স্টেশন এবং পারধাড়ে স্টেশনের কাছে ৷ পুষ্পক এক্সপ্রেসে আগুন লেগেছে বলে গুজব রটে যায় ৷ তখন যাত্রীদের মধ্যে কেউ কেউ চেন টেনে ট্রেন থামানোর চেষ্টা করে ৷ বিকেল 5টা নাগাদ পুষ্পক এক্সপ্রেস পাচোরা স্টেশনের কাছে থামে ৷ এরপর কয়েকজন যাত্রী ট্রেন থেকে নেমে রেলওয়ে ট্র্যাকের উপর দিয়ে যাচ্ছিলেন ৷ ঠিক সেই সময় পাশের ট্র্যাকে উল্টো দিক থেকে আসা কর্ণাটক এক্সপ্রেস ওই যাত্রীদের ধাক্কা দেয় ৷ ঘটনাস্থলে গিয়েছেন রেলের সেকশন ইঞ্জিনিয়র থেকে শুরু করে রাজ্য প্রশসনের কর্তারাও ৷ রেলের এক উচ্চস্তরীয় আধিকারিক সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি, কোনও কারণে ট্রেনে আগুনের ফুলকি দেখা যায় ৷ তাতে কয়েকজন যাত্রী আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ৷ তাঁদের মধ্যে কিছু যাত্রী চেন টানেন ৷ ট্রেন থামলে কেউ কেউ রেলের ট্র্যাকে নেমে পড়েন ৷ ঠিক সেই সময় পাশের ট্র্যাকে উল্টো দিক থেকে কর্ণাটক এক্সপ্রেস আসছিল ৷” মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী গুলাবরাও পাটিল বলেন, “শীর্ষস্থানীয় আধিকারিকরা ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন ৷” নাসিকের ডিভিশনাল কমিশনার প্রবীণ গেদাম বলেন, “আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছি ৷ অতিরিক্ত এসপি, এসপি, কালেক্টর এবং প্রত্যেকে রওনা দিয়েছেন ৷ আমরা ডিআরএম এবং রেলওয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি ৷ 8টি অ্যাম্বুল্যান্স ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ৷ রেলের উদ্ধারকারী ভ্যান এবং অ্যাম্বুল্যান্স ঘটনাস্থলে পৌঁছচ্ছে ৷ শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী 8 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা ৷ প্রশাসন সব দিক দিয়ে সাহায্যের হাত এগিয়ে দিয়েছে ৷” পরে আরও 3 জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে ।