দেশ

দিল্লিতে মাত্রা ছাড়াল বায়ুদূষণ, নয়ডায় বন্ধ স্কুল, জারি একাধিক নির্দেশিকা

 দিল্লিতে দূষণ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এই পরিস্থিতিতে নয়ডায় বন্ধ করে দেওয়া হল স্কুল। বলা হয়েছে, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস হবে অনলাইনে। আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত এই নিয়মই চালু থাকবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ট্রাক চলাচল বন্ধ রেখেছে দিল্লি। শুক্রবার সকাল ৬টায় দিল্লিতে বায়ুর গুণগত মান (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স)–এর মাত্রা ৪৫৩। এই মাত্রা ৩০০–র বেশি হলে তা বিপজ্জনক বলে ধরা হয়। সেখানে দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে এই সূচকের মাত্রা ৪৮৫!‌ বিমানবন্দরের আশপাশে এই সূচক ৪৫৩। নয়ডাতে এই সূচকের মাত্রা ৫৬২ আর গুরুগ্রামে ৫৩৯। মাত্রাছাড়া দূষণের কারণেই নয়ডার সব স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস হবে অনলাইনে। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদেরও অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার উপরেই জোর দেওয়া হয়েছে। এমনকী পরিস্থিতি শনিবার আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর আগে দিওয়ালির পরের দিন দিল্লির দূষণ মাত্রা ছাড়িয়েছিল। আতস বাজি ফাটিয়ে সর্বনাশ নিজেরাই ডেকে এনেছিলেন রাজধানীর বাসিন্দারা। তারপর ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হলেও এখন আবার দূষণ ভয়াবহ আকার ধারণ করল। ইতিমধ্যেই অত্যধিক দূষণের জন্য দিল্লি এনসিআর–এ নিষিদ্ধ করা হচ্ছে পুরনো ইঞ্জিনের ডিজেল গাড়ির ব্যবহার। শুধুমাত্র বিএস–৬ ইঞ্জিন যুক্ত এবং জরুরি পরিষেবাতে থাকা যানবাহন এই নিষেধাজ্ঞা থেকে ছাড় পাবে। দিল্লি–এনসিআর হাইওয়ে, উড়ালপুল, ওভারব্রিজ, পাইপলাইন নির্মাণ এবং ধ্বংসের কাজও আপাতত স্থগিত রাখা হচ্ছে। একই সঙ্গে বিশুদ্ধ জ্বালানি নিয়ে কাজ করছে না, এইরকম কলকারখানাগুলিকেও কাজ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর বায়ুদূষণ রুখতে চার স্তরীয় অ্যাকশন প্ল্যান জারি করতে চলেছে দিল্লি প্রশাসন। দ্য কমিশন অফ এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট-র পরিকল্পনা অনুযায়ী, পুরোনো ইঞ্জিনের ডিজেল চালিত গাড়ির ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে দিল্লি-এনসিআর-এ। ছাড় দেওয়া হয়েছে  বিএস-৬ ইঞ্জিন যুক্ত এবং জরুরি পরিষেবাতে থাকা যানবাহনগুলিকে। দিল্লিতে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে শুধু মাত্র বৈদ্যুতিক এবং সিএনজি চালিত ট্রাকগুলিকে। তবে ওষুধ সহ অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বহনকারী ট্রাকগুলির ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। আপাতত নির্মাণ ও ধ্বংসের কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেসব কারখানাগুলোতে বিশুদ্ধ জুলানি দিয়ে কাজ হয়না সেগুলিকেও বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।  শুধু মাত্র দুধ বা দুগ্ধজাত দ্রব্যের শিল্প এবং জীবনদায়ী চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক কারখানাগুলি এই বিধিনিষেধ থেকে ছাড় পাবে।