বিনোদন

ফের নক্ষত্র পতন, প্রয়াত সঙ্গীত শিল্পী নির্মলা মিশ্র

বাংলা সঙ্গীত জগতে ফের নক্ষত্র পতন৷ প্রয়াত সঙ্গীত শিল্পী নির্মলা মিশ্র৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১৷  আজ রাত ১২টা ০৫ মিনিটে দক্ষিণ কলকাতার চেতলার বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রবীণ এই শিল্পী৷ গত বেশ কয়েক মাস ধরেই বার্ধ্যকজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন শিল্পী৷ রাতে বাড়িতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শিল্পীর মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন তাঁর চিকিৎসক৷ আজ রাতে তাঁর মরদেহ একটি বেসরকারি হাসপাতালে রাখা থাকবে। ইতিমধ্যে এই খবর পৌঁছেছে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কাছে। আগামীকাল রবীন্দ্রসদনে তাঁর মরদেহ শায়িত থাকবে। উল্লেখ্য, ১৯৩৮ সালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মজিলপুরে জন্মগ্রহণ করেন নির্মলা মিশ্র। পরে বাবার চাকরির সূত্রে পরিবারের সঙ্গে কলকাতার চেতলায় চলে আসেন তিনি। ছেলেবেলা থেকেই সংগীতের পরিবেশে বড় হয়েছেন নির্মলা মিশ্র। তাঁর বাবা পণ্ডিত মোহিনী মোহন মিশ্র এবং দাদা মুরারিমোহন মিশ্র বিখ্যাত গায়ক ছিলেন। কাশী সংগীত সমাজ তাঁর বাবাকে পণ্ডিত, সংগীত রত্ন সহ একাধিক উপাধিতে ভূষিত করেছিল। জন্মের পর থেকেই সংগীতের প্রতি অসীম আগ্রহ ছিল তাঁর। কৈশোর বয়স থেকেই দুর্দান্ত গান গাইতেন তিনি। সুরেলা কণ্ঠের জাদুতে তিনি মুগ্ধ করেছেন আপামর বাংলাকে। বাংলা ছবির জন্য প্লে-ব্যাকও গেয়েছেন তিনি। তিনি বহু বাংলা সিনেমায় কণ্ঠ দিয়েছেন। ১৯৬০ সালে ‘শ্রী লোকনাথ’ সিনেমার গানের কণ্ঠ দেন নির্মলা। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, ‘স্ত্রী’, ‘অভিনেত্রী’, ‘অনুতাপ’-এর মতো ছবি। ১৯৭৬ সালে উত্তর কুমারের সঙ্গে নব-রূপে তৈরি মহালয়ার প্রভাতী অনুষ্ঠানেও তিনি অংশ নিয়েছিলেন বলে শোনা যায়। নির্মলার স্বামী প্রদীপ দাশগুপ্তও ছিলেন একজন শিল্পী ও গীতিকার। তিনি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সঙ্গীত অ্যাকাদেমির উপদেষ্টা পরিষদ ও বাংলা সঙ্গীতমেলা কমিটির কার্যকরী সমিতির সদস্যা ছিলেন । পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে ২০১২ সালে ‘সংগীতসম্মান’ এবং ২০১৩ সালে ‘সংগীত মহাসম্মান’ ও ‘বঙ্গবিভূষণ’ সম্মাননা প্রদান করে