ভোটের সময় চার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার প্রধানকে বদল করার দাবি সামনে রেখে এবং অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন নিশ্চিত করতে সোমবারের পর আজ মঙ্গলবারও দিল্লিতে ধর্নায় বসল তৃণমূল নেতৃত্ব। প্রতিনিধি দলে রয়েছেন ডেরেক ও’ব্রায়েন, মহম্মদ নাদিমুল হক, দোলা সেন, সাকেত গোখলে, সাগরিকা ঘোষ, বিবেক গুপ্তা, অর্পিতা ঘোষ, শান্তনু সেন, আবীররঞ্জন বিশ্বাস।তৃণমূলের যুবনেতা সুদীপ রাহাও রয়েছেন তাদের সঙ্গে। ইতিমধ্যেই আম আদমি পার্টির সৌরভ ভরদ্বাজ তৃণমূলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করতে মন্দির মার্গ থানায় যাচ্ছেন বলে জানান রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষ। এই ঘটনায় তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়েছেন আপের রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংহও। সোমবার নির্বাচন কমিশনের বাইরে ধর্নার সময় অমিত শাহর পুলিশ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলের সদস্যদের আটক করে মন্দির মার্গ থানাতে নিয়ে এসেছিল। সেই থানা চত্বরেই ধর্নায় বসেছে বলে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। তবে ইতিমধ্যেই এনআইএ সূত্ৰে খবর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাপের মুখে নতিস্বীকার করল এনআইএ। এদিন নিজের এক্স হ্যান্ডেলে কুণাল ঘোষ লেখেন, ”বিজেপি-এনআইএ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন দিল্লির এসপি ডি আর সিংকে জরুরিভাবে তলব করল এনআইএ। বিতর্কিত মামলাগুলির তদারকি করতে এনআইএ আইপিএস রাকেশ রোশনকে পাটনা থেকে কলকাতায় পাঠাচ্ছে। তবে, আমরা ডিআর সিংয়ের বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত ও ব্যবস্থা চাই। সেই বৈঠকের বিষয়টি চাপা দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে এমন ষড়যন্ত্র ঢাকার চেষ্টা করবেন না। এনআইএ’র উচিত ডিআর সিং-এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে যথাযথ প্রেস রিলিজ প্রকাশ্যে আনা। আমরা ডিজি এনআইএ-র পরিবর্তনের দাবি জানাই, কারণ তিনি ডিআর সিং-এর কার্যকলাপ সহ সম্পূর্ণ বিষয়টির জন্য দায়ী।”