জেলা

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং সুন্দরবনের কাছে এসে দুর্বল হয়ে পড়বে

আবারও বাংলার রক্ষাকর্তা সুন্দরবন। সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়কে সাগরের বুকে ঠেকিয়ে রেখে তাকে দুর্বল করে দিয়ে বাংলাকে বাঁচিয়ে দিতে পারে। তবে ঝড়কে সাগরে ঠেকিয়ে দুর্বল করে দিলেও প্রবল বৃষ্টি আর জলোচ্ছ্বাসের হাত থেকে কিন্তু সুন্দরবন বাঁচাতে পারবে না বাংলাকে। নজরে ‘সিত্রাং’। আন্দামান সাগরে জন্ম নেওয়া ঘূর্ণাবর্ত গুটি গুটি পায়ে হাজির হয়েছে বঙ্গোপসাগরের বুকে। সেখানেই এদিন সেটি নিম্নচাপের রূপ নিয়েছে। এদিন থেকেই সে ধীরগতিতে এগোবে পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে। আগামী ২২ তারিখ অর্থাৎ শনিবার তা পূর্ব-মধ্য এবং সংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অতি গভীর নিম্নচাপের রূপ নেবে। ২৩ অক্টোবর, রবিবার অর্থাৎ কালীপুজোর ঠিক আগের দিন এই নিম্নচাপ বাঁক নিয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হবে। সোমবার অর্থাৎ কালীপুজোর দিন পশ্চিম-মধ্য এবং সংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অতি গভীর এই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। নাম হবে ‘সিত্রাং’।দিল্লির মৌসম ভবনের দাবি, সিত্রাং জন্ম নেওয়ার পরেই তা উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হবে। ২৫ অক্টোবর, মঙ্গলবার তা পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ উপকূলে পৌঁছতে পারে। কিন্তু সেই দিন থেকেই তার শক্তিক্ষয় হওয়ার পালাও শুরু হয়ে যাবে। কেননা সেই সময় সুন্দরবনের ওপরে একটি উচ্চচাপবলয় তৈরি হতে পারে। সেই উচ্চচাপবলয়ের জেরেই হুট করে স্থলভূমিতে ঢুকে পড়তে পারবে না সিত্রাং। বরঞ্চ সাগরের বুকে দাঁড়িয়েই সে বৃষ্টি ঝরাবে। কার্যত এই উচ্চচাপবলয় ও উত্তর-পশ্চিম হাওয়ার জেরে এই ঘূর্ণিঝড় আবারও বাঁক নিয়ে চলে যাবে বাংলাদেশের দিকে। এর জেরে এ পার বাংলা বড়সড় বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাবে। যদিও আবহাওয়াবিদদের দাবি, সিত্রাংয়ের জন্ম না হলে তার অভিমুখ আর প্রকৃতি বিশ্লেষণ করা সম্ভব নয়। এখন শুধুই আনুমানিক একটা পূর্ভাবাস পাওয়া যাচ্ছে। তা মিলতেও পারে, আবার নাও মিলতে পারে। তবে সিত্রাং বাংলায় আছড়ে না পড়লেও এর জেরে দুই ২৪ পরগনা, কলকাতা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া ও হুগলি জেলা প্রবল বৃষ্টির মুখে পড়তে চলেছে। সেই সঙ্গে বইবে তীব্র ঝোড়ো হাওয়া।