বিনোদন

গান স্যালুটে শেষ বিদায় ‘ফেলুদা’কে

পদযাত্রা করে রবীন্দ্রসদন থেকে কেওড়াতলা মহাশ্মশানে নিয়ে আসা হয় প্রয়াত অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মরদেহ। কেওড়াতলা মহাশ্মশানে গান স্যালুট দিয়ে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁকে শেষ বিদায় জানালো পশ্চিমবঙ্গ সরকার। উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌমিত্র কন্যা পৌলমী বোস, সাংসদ দেব, পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, সাংসদ মালা রায় সহ হাজার হাজার সৌমিত্র ভক্তেরা। আজ দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে বেলভিউ হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে প্রথমে হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়া হবে তাঁর গলফ গ্রীনের বাড়িতে। তারপর সেখান থেকে টেকনিশিয়ান স্টুডিও হয়ে রবীন্দ্রসদনে নিয়ে যাওয়া হবে দেহ। আমজনতা যাতে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারেন তার জন্য সেখানে দেহ কিছুক্ষন রাখা হবে। তারপর তাঁর দেহ পদযাত্রা করে নিয়ে যাওয়া হবে কেওড়াতলা মহাশ্মশানে। গান স্যালুটের পরই সেখানে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। সেই মতোই দুপুর ২টো নাগাদ প্রবীণ অভিনেতার দেহ বেলভিউ হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর বাড়িতে। সেখান থেকে আবার দুপুর ২টো ৫০ মিনিট নাগাদ দেহ পৌঁছায় টেকনিশিয়ান স্টুডিওতে। বিকাল ৩টে ৩০ মিনিট নাগাদ দেহ নিয়ে আসা হয় রবীন্দ্রসদনে। ফেলুদা হোক কী অপু, কিংবদন্তীর এই অভিনেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এখানেই ভিড় জমান আমজনতা। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এখানেই অভিনেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। সৌমিত্রকে শেষ শ্রদ্ধা জানান বিমান বসু-সূর্যকান্ত মিশ্ররা।