বুধবার বিকেলে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের টুইট দেখে কিছুক্ষণের জন্য স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন অনুরাগীরা ৷ বোর্ড প্রধানের পদ ছেড়ে নতুন জার্নি শুরু করতে চলেছি ৷ এদিন বিকেলে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের এমনই ইঙ্গিতপূর্ণ ঘোষণায় ক্ষণিকের ঝড় বয়ে যায় ভারতীয় ক্রিকেটমহলে ৷ তবে সময় গড়াতেই সামনে এল পুরো বিষয়টি ৷ সন্ধেয় বাসভবনে উৎসুক সংবাদমাধ্যমের সামনে বিসিসিআই-য়ের পদ ছাড়ার তত্ত্ব স্রেফ উড়িয়ে দিলেন মহারাজ ৷ সৌরভ জানালেন, নিজস্ব ভেঞ্চারে শিক্ষামূলক অ্যাপ বাজারে আনছেন তিনি ৷ এদিন সন্ধেয় সংবাদমাধ্যমকে নিজের স্টান্স পরিষ্কার করে সৌরভ বোঝালেন বিকেলের টুইট নিছকই দাদাগিরির গুগলি ৷ যাতে ক্লিন বোল্ড অনুরাগী থেকে সংবাদমাধ্যম ৷ অপেক্ষমান সংবাদমাধ্যমকে সৌরভ জানালেন, পুরোটাই বিজ্ঞাপনী চমক। তারপর নিজের মুখে বললেন, “ক্রিকেট প্রশাসকের পদ থেকে ইস্তফার কোনও বিযয়ই নেই এতে ৷ সিম্পল টুইট এটা ৷ একটা কমার্শিয়াল এডুকেশনাল অ্যাপ লঞ্চ করতে চলেছি আমি। যেটা আমার নিজস্ব ভেঞ্চার ৷” এরপর তিনি জানান, তাঁর টুইট ঘিরে শুরু হওয়া জল্পনা দেখে তিনি অবাক হয়ে গিয়েছেন ৷ প্রসঙ্গত, টুইটে এদিন বাইশ গজ থেকে গত ৩০ বছরে প্রাপ্তির কথা উল্লেখ করে নতুন যাত্রা শুরুর ঘোষণা করেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট ৷ কী তাঁর নতুন পথ চলা, আদৌ বাইশ গজকে তিনি বিদায় জানাচ্ছেন কি না, সে ব্যাপারে টুইটে কিছু খোলসা না করলেও তাঁর দীর্ঘ যাত্রাপথে যারা সহযোগিতা জুগিয়ে এসেছেন, তাদের সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সৌরভ ৷ এমনকী তাঁর নয়া জার্নি প্রচুর মানুষের উপকারে আসবে বলেও জানিয়েছেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট ৷ যদিও এদিন সন্ধ্যে নাগাদ সোশ্যাল মিডিয়ায় জল্পনা শুরু হয়ে যায় যে তিনি বোধহয় BCCI-এর সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। মুহূর্তের মধ্যে সেটা ট্রেন্ডিংও হয়ে যায়। তবে এই জল্পনা নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন বোর্ড সচিব জয় শাহ। তিনি একটি সংবাদমাধ্যমে তিনি বললেন, “সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় BCCI সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন না।” অন্যদিকে তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষ সৌরভের এই ইঙ্গিতবহ টুইটকে হাতিয়ার করে পালটা টুইট করেছেন। তিনি লিখেছেন, “সৌরভ রাজ্যসভায় মনোনীত হতেই পারেন। তার জন্য এই টুইট দরকার ছিল না। অন্য যে সম্ভাবনা, সেটি ক্ষীণতম। রইল বাকি একটি সম্ভাবনা- নতুন কোনও বিজ্ঞাপনের প্রচার কৌশল। সম্ভবত সেটিই হতে চলেছে।“
সৌরভের ইঙ্গিতপূর্ণ টুইট আসলে বিজ্ঞাপনী চমক !