জল্পনাই সত্যি হলো। গৃহীত হলো অরূপ বিশ্বাসের ইস্তফাপত্র। ক্রীড়ামন্ত্রীর পদ থেকে অরূপ বিশ্বাসের পদত্যাগের ইচ্ছায় সম্মতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আপাতত ক্রীড়াদপ্তর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের হাতেই রাখবেন। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহতি দেওয়া হলো অরূপকে। মঙ্গলবার সকালেই সোশ্যাল মিডিয়ায় অরূপ বিশ্বাসের লেখা একটি চিঠি ভাইরাল হয়। ‘শ্রদ্ধেয় দিদি’কে সেই চিঠিতে লেখা ছিল, ১৩ ডিসেম্বর মেসির কলকাতা সফরে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে যে পরিস্থিতি হয়েছে, তার জন্য ইতিমধ্যেই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ‘নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে আমি ক্রীড়ামন্ত্রী হিসেবে অব্যাহতি চাইছি। আশা করি আমার এই অনুরোধ রাখবেন।’ অরূপের সেই অনুরোধ গৃহীত হয়েছে। আপাতত ক্রীড়া দপ্তর দেখবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। এর আগে মদন মিত্র সারদা মামলায় যখন গ্রেপ্তার হন, মদন ক্রীড়ামন্ত্রী ছিলেন। গ্রেপ্তারের পরে বছরখানেক সেই পদে থাকলেও পরবর্তীকালে মদনকে সরিয়ে সেই দপ্তরের দায়িত্ব নেন মমতা নিজে। এ বার যুবভারতী কাণ্ডে অরূপের সরে দাঁড়ানোর পরে আবারও ক্রীড়া দপ্তরের দায়িত্বে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৩ ডিসেম্বর যুবভারতীর ঘটনায় যে ভাবে বাংলার মাথা হেঁট হয়েছে, তাতে সরকারের ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে পড়েছে। মাঝ মাঠে মেসির সঙ্গে ছবি তুলতে চেয়ে মন্ত্রী, VVIP-দের লাফালাফি যেমন সমালোচনার মুখে, পাশাপাশি চরম বিশৃঙ্খলা নিয়েও তদন্ত চলছে। মঙ্গলবারই শোকজ়ের চিঠি ধরানো হয়েছে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার ও বিধাননগরের সিপি মুকেশ কুমারকে। রাজীব কুমারকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। সাসপেন্ড করা হয়েছে বিধাননগরের ডিসিপি অনীশ সরকারকেও। আপাতত চার সদস্যের SIT গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।



