জেলা

বর্ধমান স্টেশনে নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াল রাজ্য সরকার, দিল ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ

বর্ধমান স্টেশনে জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে নিহতদের পরিবার ও জখমদের পাশে দাঁড়াল রাজ্য সরকার। জখমদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হল। মৃত বধূর পরিবারের হাতে দু’লক্ষ টাকার চেক দেওয়া হয়। রাজ্যের প্রাণিসম্পদ দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জখমদের সঙ্গে দেখা করে চেক তুলে দেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজী, পুলিস সুপার আমনদীপ। এদিন সকালে জখমদের সঙ্গে দেখা করেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার সহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরা। স্বপনবাবু বলেন, রেলযাত্রীদের কোনও নিরাপত্তা নেই। বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে। রেলের কোনও হেলদোল নেই। জেলা পরিষদের সভাধিপতি বলেন, অমৃত ভারত প্রকল্পে বর্ধমান স্টেশনকে স্মার্ট করে তোলার কথা রেল ঘোষণা করেছে। যাত্রীদের নিরাপত্তা না থাকলে স্মার্ট স্টেশনের কী গুরুত্ব আছে? কেন্দ্রীয় সরকার সব কিছুতেই রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চা‌ইছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন হাসপাতালে ভর্তি থাকা ১৩জনের হাতে ৫০ হাজার টাকা করে চেক তুলে দেওয়া হয়েছে। জখমদের অনেকেই ছুটি নিয়ে বাড়ি চলে গিয়েছেন। দুর্ঘটনায় বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের অনেকে জখম হয়েছিলেন। শেড ভেঙে বর্ধমান শহরে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়। তাঁর পরিবারকে দু’লক্ষ টাকার চেক রাজ্যের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসন জানিয়েছে। মন্ত্রী বলেন, এর আগেও বর্ধমান স্টেশনে দুর্ঘটনা ঘটেছে। তারপর এবার জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ল। সেই ব্রিটিশ আমলে ট্যাঙ্ক তৈরি হওয়ার পর সেটি আর সম্পূর্ণভাবে সংস্কার হয়নি। কী কারণে সেটি দেখভাল করা হয়নি তা তদন্ত হওয়া দরকার। বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাসও এদিন হাসপাতালে যান। তিনি বলেন, ভাঙা ট্যাঙ্কটি এখনও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ফুট ওভারব্রিজগুলিও সংস্কার করা উচিত। ফের দুর্ঘটনা না হলে হয়তো রেলের হুঁশ ফিরবে না। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতালের সামনেই অনুসন্ধান কেন্দ্র তৈরি হয়েছে। সেখানে এসে যাত্রীরা জখমদের সম্পর্কে খোঁজ নিতে পারেন। তবে এদিন অনেকেই ক্যাম্পে এসে নিজেদের দুর্ঘটনায় জখম বলে দাবি করেন। তাঁরা বলেন, জলে ভিজে যাওয়ার জন্য বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। বাইরে চিকিৎসা করিয়েছেন। সেই সংক্রান্ত বেশকিছু নথিও তাঁরা নিয়ে আসেন। কিন্তু কোথায় তাঁদের চোট লেগেছে তা তাঁরা দেখাতে পারেননি। সেকারণে তাঁদের নতুন করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি। ক্ষতিপূরণও তাঁরা পাননি।