কলকাতা

ওমিক্রন রুখতে নয়া নির্দেশিকা রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের

আতঙ্কের নাম ওমিক্রন। করোনার এই নয়া প্রজাতির বাড়বাড়ন্ত নিয়ে চিন্তায় গোটা দেশ।মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, তেলেঙ্গনা ও দিল্লিতে হু হু করে বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। পশ্চিমবঙ্গে আপাতত থাবা বসায়নি ওমিক্রন। কিন্তু ঢিলেমি দিতে নারাজ রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। তাই কলকাতা বিমানবন্দরে যেসকল আন্তর্জাতিক যাত্রীদের কোভিড পজিটিভ পাওয়া যাবে, তাঁদের সবাইকেই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের ঠিক করে দেওয়া হেলথ ফেসিলিটিতে বাধ্যতামূলকভাবে থাকতে হবে। বিদেশ ফেরত কোভিড পজিটিভ রোগীদের ক্ষেত্রে কোনও হোম আইসোলেশন চলবে না।  মূলত যে সমস্ত করোনা রোগীর ভাইরাল লোড ৩০-এর নীচে রয়েছে তাদের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সে পাঠানো হবে। প্রাথমিক ভাবে কলকাতায় করোনা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে এটা করা হবে, পরবর্তীতে দুর্গাপুর, আসানসোল, শিলিগুড়িতে একইভাবে সিটি ভ্যালু ৩০-এর নিচে থাকা করোনা রোগীদের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে পাঠানো হবে, বলে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। বিদেশ থেকে কলকাতায় আগত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও এটাই করা হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে একটা প্রোটোকল রয়েছে ওমিক্রন শনাক্তের ক্ষেত্রে। কিন্তু ভিন রাজ্য থেকে বাংলার নানা প্রান্তে আসা ব্যক্তিদের করোনা শনাক্তের সুযোগ কম। সেক্ষেত্রে ভিন রাজ্য থেকে আসা কোনও ব্যক্তির শরীরে করোনা হলে তার ভাইরাল লোডের তথ্য পাওয়া যাবে না। তাতে দ্রুত করোনা ছড়ালেও নিয়ন্ত্রণ করতে দেরী হবে। তাই কলকাতা দিয়ে শুরু করেই অন্যান্য জেলাতেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও করোনার নয়া প্রজাতি ওমিক্রনে আক্রান্ত ব্যক্তিরা উপসর্গহীন। তাদের থেকেও করোনা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকেই। তাই এই নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর।