কলকাতা

দিলীপকে খোঁচার পর সুকান্তের সঙ্গে বচসা, ক্ষুব্ধ শাহ- নাড্ডা! বৈঠকে ডাক পেলেন না শুভেন্দু অধিকারী

গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্র হাজরা থেকেই বিজেপি’র সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষকে নাম না করে আক্রমণ করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । শুধু তাই নয় অভিযোগ, বঙ্গ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গেও ‘ঠাণ্ডা’ বচসা হয় শুভেন্দু’র। সেই জেরেই বিজেপি’র সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা বাতিল করলেন শুভেন্দু’র সঙ্গে বৈঠক। শুভেন্দু বলেছিলেন, তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করতে যাবেন। তবে দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, এই সাক্ষাৎ শুধু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার। ওই এক কথাতেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, শুভেন্দু ‘শুধুমাত্র’ পরিষদীয় দলের নেতা। শুভেন্দু’র হুঙ্কার ছিল, ডিসেম্বরের ১২, ১৪, ২১ তারিখ ‘মারাত্মক’ কিছু হবে। পরে অবশ্য  ‘সুর বদল’ করে বল ঠেলেছিলেন কোর্টের দিকে। সেই সুর অনেক ‘নরম’। ১২ তারিখের সভা থেকে দিলীপকে নাম না করে খোঁচা দিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, ‘আমি বিরোধী দলনেতা। গিমিকে বিশ্বাস করি না… মর্নিং ওয়াক করতে গিয়ে মিডিয়াকে বাইট দিই না’। জানা গিয়েছে, হাজরার সভায় যখন শুভেন্দু দিলীপকে খোঁচা দিচ্ছেন। তখন সুকান্ত প্রতিবাদ করেছিলেন। শুভেন্দুর জবাব ছিল, ভেবেচিন্তেই বলেছেন তিনি। সেই খবর গিয়েছিল দিলীপ থেকে শাহ- নাড্ডার কাছে। খবর পৌঁছেছিল সঙ্ঘের কাছেও।  সঙ্ঘ দিলীপ ঘোষের ‘অপমান’ মেনে নিতে পারেনি সঙ্ঘ। তাই সঙ্ঘ- বিজেপি সমন্বয় বৈঠকে ডাক পাননি শুভেন্দু। তারপরে বাতিল হয়েছিল অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক। এবার বাতিল হল নাড্ডার দঙ্গে বৈঠক। বিজেপি শিবিরে আদি-নব্য দ্বন্দ্ব পরিচিত। আর শুভেন্দু’র এই মন্তব্যে তা জোরালো হয়েছে আরও। পদ্মশিবিরের একাংশে গুঞ্জন, ওঁ বিরোধী দলনেতা কতদিন থাকে, সেটাই এখন দেখার।