হাওড়া যাওয়ার পথে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর সামনে থেকে গ্রেফতার করা হল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে ৷ তাঁকে লালবাজারে নিয়ে আসা হয়েছে ৷ সেন্ট্রাল লকআপে তাঁকে রাখা হয়েছে বলে খবর ৷ সুকান্তর সঙ্গে তাঁর কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীরাও রয়েছেন বলে সূত্রের খবর ৷ পুলিশি অবরোধকে ঠেলেই দ্বিতীয় হুগলি সেঁতুর টোল প্লাজা পর্যন্ত পৌঁছেছিলেন সুকান্ত মজুমদার। সঙ্গে ছিল অগুণিত বিজেপি সমর্থক এবং কর্মী। তাঁরাই রাস্তার মাঝে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে সুকান্ত-র জন্য রাস্তা পরিষ্কার করে দিচ্ছেলেন। কিন্তু, কখনও হেঁটে এবং আবার কখনও গাড়িতে চেপে দ্বিতীয় হুগলি সেঁতুর টোল প্লাজায় যখন সুকান্ত মজুমদার তাঁর দলবল নিয়ে পৌঁছান তখন আগে থেকে সেখানে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন ছিল। যাদের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন কলকাতার ডিসি সাউথ এবং হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি হেডকোয়ার্টারের হেড। সেখানে পুলিশের সঙ্গে খানিক বাদানুবাদের পর সুকান্ত মজুমদারকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে এজেসি বোস রোড ফ্লাইওভার দিয়ে নামা সুকান্ত মজুমদারের কনভয় আটকে দিয়েছিল পুলিশ। ফলে গাড়ি থেকে নেমে হাঁটতে শুরু করেছিলেন সুকান্ত। সেখানেও পুলিশ তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করে। কিন্তু সুকান্ত মজুমদারের একটাই বক্তব্য ছিল যে অর্ডার দেখাতে হবে যে তাঁকে যেতে দেওয়া হবে না। পাল্টা পুলিশও জানায় যে সুকান্তকেই মুচলেকা দিতে হবে যে তিনি হাওড়ার ১৪৪ ধারা লাগু থাকা এলাকায় যাবেন না। যদিও, সুকান্ত মজুমদার পুলিশের এই বাধাকে পাত্তা না দিয়েই এগোতে থাকেন। পিটিএস-এর সামনে থেকে ফের অন্য একটি গাড়িতে উঠে দ্বিতীয় হুগলি সেঁতুর উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন সুকান্ত। হাওড়া যাওয়ার পথে গ্রেফতার হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিন দুপুর ১২ টা ৫১ মিনিটে সুকান্ত মজুমদার প্রথমে টুইটারে জানান,’মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমাকে হাউজ অ্যারেস্ট করেছে বাংলার পুলিশ’।