খেলা

রাজস্থান রয়্যালসকে ৩৬ রানে হারিয়ে আইপিএল ফাইনালে কেকেআরের মুখোমুখি সানরাইজার্স হায়দরাবাদ

সানরাইজার্স হায়দরাবাদ: ১৭৫/৯ (ক্লাসেন ৫০, হেড ৩৪, আভেশ খান ২৭/৩)
রাজস্থান রয়্যালস: ১৩৯/৭ (ধ্রুব জুরেল ৫৬, যশস্বী ৪২, শাহবাজ ২৩/৩)
৩৬ রানে জয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদের।

রাজস্থান রয়্যালসকে ৩৬ রানে হারিয়ে ফাইনালে কেকেআরের মুখোমুখি সানরাইজার্স হায়দরাবাদ । এদিন টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন রাজস্থানের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। প্রথমে ব্যাট করে হায়দরাবাদের বিধ্বংসী রেকর্ড সামনে রেখেই ঝুঁকি নিয়েছিলেন সঞ্জু। বোলাররাও যথেষ্ট সঙ্গ দিলেন তাঁদের অধিনায়ককে। প্রথম ওভারেই ট্রেন্ট বোল্ট ফিরিয়ে দেন দুরন্ত ফর্মে থাকা অভিষেক শর্মাকে (১২)। সেখান থেকে হায়দরাবাদ ব্যাটিংয়ের হাল ধরেছিলেন হেড (৩৪) আর রাহুল ত্রিপাঠী (৩৭)। ক্রমশ চেনা ছন্দেই ফিরছিলেন অজি তারকা। সেই সময়েই ফের পালটা আঘাত বোল্টের (৪৫/৩)। একই ওভারে তিনি ফেরান ত্রিপাঠী আর মার্করামকে (১)। সন্দীপ শর্মার বলে দ্রুত ফিরে যান হেডও। আভেশ খানদের (২৭/৩) দাপট সামলেও হাফ সেঞ্চুরি করে কিছুটা লড়াই চালান ক্লাসেন (৫০)। যার ফলে হায়দরাবাদ থামে ১৭৫ রানে। চেন্নাইয়ের মাঠ হিসেবে এই স্কোর একেবারে খারাপ নয়। চলতি মরশুমে এখানে খুব বেশি রান তুলতে পারেনি কোনও দলই। ২০০-র উপর রান উঠেছে হাতে গোনা ম্যাচে। তাছাড়া প্যাট কামিন্স, ভুবনেশ্বর কুমার, নটরাজনের মতো গোলাবারুদে ঠাসা হায়দরাবাদের বোলিং। যার প্রভাব টের পেলেন রাজস্থানের ওপেনার কাডমোর (১০)। স্বদেশীয় জস বাটলার ফিরে যাওয়ার পর তাঁর জুতোয় পা গলাতে সম্পূর্ণ রূপে ব্যর্থ ইংরেজ ব্যাটার। তিনি ফিরে যাওয়ার পর বরং যশস্বী জয়সওয়ালের (৪২) ব্যাটে ভর করে জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে রাজস্থান। কিন্তু বাংলার অলরাউন্ডার শাহবাজ আহমেদের (২৩/৩) স্পিনে ধরা দিলেন যশস্বী। পরের ওভারে অভিষেক শর্মার (২৪/২) বলে ফিরে গেলেন অধিনায়ক সঞ্জুও (১০)। বেঙ্গালুরু ম্যাচের নায়ক হেটমায়ার (৪)-পাওয়েলরা (৬) দ্রুত ফিরে গেলেন। ধ্রুব জুরেলের (৫৬) একার লড়াই কাজে এল না। শেষ পর্যন্ত ৩৬ রানে ম্যাচ জিতে নিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।