দেশ

সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল আরজি কর মামলার শুনানি

আরজি করে চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুন এবং হাসপাতালের দুর্নীতি মামলার শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টে ৷ আজ, বুধবার এই মামলা দু’টির শুনানি হওয়ার কথা ছিল দেশের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার ডিভিশন বেঞ্চে ৷ কিন্তু তা পিছিয়ে গিয়েছে ৷ এক সপ্তাহ পর আগামী 29 জানুয়ারি এই মামলা দু’টির শুনানি হবে, জানিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত ৷ এর আগে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চে প্রথমবার আরজি কর মামলার শুনানি হয় গত বছরের 10 ডিসেম্বর ৷ সেই শুনানিতে শীর্ষ আদালত গঠিত ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স-এর (এনটিএফ) কাছে চূড়ান্ত রিপোর্ট চেয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ ৷ শুনানির দিন থেকে 12 সপ্তাহের মধ্যে জাতীয় টাস্ক ফোর্স সংক্রান্ত চূড়ান্ত রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেছেন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নেতৃত্বে গঠির দুই সদস্যের বিচারপতির বেঞ্চ ৷ এদিকে 18 জানুয়ারি, আরজি করে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের মামলায় শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করে ৷ এই মামলায় সে একাই দোষী সাব্যস্ত হয় ৷ চলতি সপ্তাহের 20 জানুয়ারি তাকে আমরণ কারাবাসের সাজা ঘোষণা করে একই আদালত ৷ এই মামলাকে ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ বলে মানতে রাজি হননি বিচারক ৷ আরজি কর মামলায় দোষী সঞ্জয় রায়কে সর্বোচ্চ ফাঁসির সাজা না দেওয়ায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার ৷ দোষীর ফাঁসির পক্ষে সওয়াল করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সাজা ঘোষণার পরদিন 21 জানুয়ারি রাজ্য সরকার হাইকোর্টে দোষী সঞ্জয় রায়ের ফাঁসির সাজার আবেদন করে মামলা দায়ের করে ৷ বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেন অ্যাডভোকেট জেলারেল (এজি) কিশোর দত্ত ৷ আজ হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি হয় ৷ সেখানে রাজ্যের আবেদনকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে সিবিআই ৷ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষে আইনজীবী (ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল) রাজদীপ মজুমদার আদালতে সওয়াল করেন, দোষীর সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে রাজ্য কীভাবে আবেদন করতে পারে ? একমাত্র তদন্তকারী সংস্থাই পারে নিম্ন আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উচ্চ আদালতে যেতে । এর পাল্টা সওয়াল করেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত ৷ সব মিলিয়ে এই রাজ্যের ফাঁসির সাজার আবেদন গ্রহণযোগ্য কি না, সেই শুনানি হবে আগামী সোমবার, 27 জানুয়ারি ৷