দেশ

কর্নাটক হাইকোর্টে শুনানির মধ্যেই এক বিচারপতির বিতর্কিত মন্তব্য লাইভ স্ট্রিমিংয়ে ভাইরাল হওয়ায় বিড়ম্বনায় দেশের বিচারবিভাগ

কর্নাটক হাইকোর্টে শুনানির মধ্যেই এক বিচারপতির আলটপকা বিতর্কিত মন্তব্য লাইভ স্ট্রিমিংয়ে ভাইরাল হওয়ায় বিড়ম্বনায় দেশের বিচারবিভাগ। এ নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে বুধবার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এজলাসে বিচারপতিদের মন্তব্য করার ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়ার কথা বলেছে। কর্নাটকের ওই বিচারপতি অবশ্য সমালোচনার মধ্যে খোলা এজলাসে নিজের মন্তব্যের জন্যে আগেই ক্ষমা চেয়েছেন। তবে তিনি তার পর থেকে শুনানির লাইভ স্ট্রিমিং বন্ধ করে দিয়েছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ তাঁর সেই পদক্ষেপে আপত্তি জানিয়ে বলেছে, স্বচ্ছতার বিকল্প আরও স্বচ্ছতা। দেশের শীর্ষ আদালতের বক্তব্য, লাইভ স্ট্রিমিং বন্ধ করলে চলবে না, বরং বিচারপতিদের নিজেদের বক্তব্য জানানোর সময়ে সতর্ক হতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের এই মন্তব্যের জেরে আলোচনা শুরু হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টেও। কলকাতা হাইকোর্টে গত বছর দেড়েক ধরে অন্য হাইকোর্টের মতোই অনেক এজলাসের বিচার-প্রক্রিয়া সরাসরি ইউ-টিউবে দেখা যায়। তবে এক-এক এজলাসে রয়েছে এক-এক রকম ব্যবস্থা। বেশ কয়েকটি এজলাসে এখনও লাইভ স্ট্রিমিংয়ের পরিকাঠামো গড়ে ওঠেনি।আবার কোনও এজলাসে শুনানির সময়ে লাইভ চালু থাকলেও নির্দেশ ডিকটেশনের সময়ে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিছু এজলাসে যাবতীয় পরিকাঠামো থাকা সত্ত্বেও কেন লাইভ হয় না, তা অজানা আইনজীবীদেরও। প্রায় দু’দশক আগে স্বচ্ছতার স্বার্থে লোকসভা টিভি চালু হয়েছিল। পরে সুপ্রিম কোর্টও স্বচ্ছতার স্বার্থে বিচারের শুনানি লাইভ করার পক্ষে পরিকাঠামো গড়ায় উদ্যেগী হয়।আইনজীবীদের বক্তব্য, শুনানির লাইভ হলে মক্কেলেরও সুবিধা। তিনি বাড়িতে বসেই শুনানি দেখে-শুনে নিতে পারেন। আইনজীবীদের দোষারোপ করা বা শুনানি পিছিয়ে গেলে তা নিয়ে বিবাদের সুযোগ কমে। যদিও বিচারবিভাগের অফিসারদের বক্তব্য, আইনি বাধা সত্ত্বেও যে ভাবে ইউ-টিউব থেকে অতি-উৎসাহীরা শুনানির বিভিন্ন অংশ কেটে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিচ্ছেন, তাতে বিড়ম্বনা বাড়ে। বহ ক্ষেত্রে দেখা যায়, দীর্ঘ শুনানির একটা অংশ কেটে নিয়ে তা ছড়িয়ে দেওয়ায় তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।