জেলা

সিউড়িতে টাকার বিনিময়ে দলীয় টিকিট ‘বিক্রি’, জেলা বিজেপি কার্যালয়ে ধুন্ধুমার

টাকা নিয়ে দলীয় টিকিট বিক্রি করা হয়েছে, অভিযোগে বিজেপির জেলা দলীয় কার্যালয়ে ধুন্ধুমার। বিজেপি প্রার্থী গোরাচাঁদ দাস কর্মীদের সামনেই দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক শ্যামসুন্দর গড়াইয়ের উপর চড়াও হন। প্রতীক না পেয়ে গোরাচাঁদবাবু সিউড়ি ১ নম্বর ব্লকের ১৩ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির আসনে নির্দল প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। একই অভিযোগ ওই মণ্ডলের বিজেপি সহ সভাপতি দীপালি সাঁতরা পালের। তিনি জানান, নির্দল হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে দলের প্রার্থীকেই তিনি পরাজিত করবেন। যদিও গোরাচাঁদবাবু নির্দল হলেও বিজেপির প্রার্থীর হয়ে প্রচারে যাবেন বলে জানান। তবে তিনি স্বীকার করেন মঙ্গলবার রাতে তিনি টিকিট না পেয়ে উত্তেজিত হয়ে শ্যামসুন্দর গড়াইয়ের উপর চড়াও হন। কিন্তু সব গণ্ডগোলের জন্য শ্যামসুন্দর গড়াই দায়ী বলে দাবি করেন কড়িধ্যার শহর মণ্ডল সভাপতি উদয় হাজরা। তিনি জানান, সংগঠন শেষ করছেন শ্যামসুন্দর। কড়িধ্যা ১৩ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির আসনে সাত মাস আগে থেকেই গোরাচাঁদকে প্রার্থী করার পরিকল্পনা করা হয়। মনোনয়ন জমা দিয়ে গোরাচাঁদবাবু দেওঘরে আত্মগোপন করেছিলেন। সেখান থেকেই দলের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁকেই প্রতীক দেওয়া হবে বলে জানান হয়। মনোনয়ন প্রত্যাহারের পর সিউড়ি ফিরে সন্ধেয় দেখেন, তাঁর আসনে রাজীব চট্টোপাধ্যায় নামে সদ্য তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা সদস্যকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। বিজেপি দলীয় কর্মীদের দাবি, শ্যামসুন্দর গড়াইকে তারপরই উত্তম মধ্যম দেন গোরাচাঁদ। শ্যামসুন্দর জানান, তিনি রাজনগর ব্লকের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি মনে করেন, গোরাচাঁদবাবু দীর্ঘদিনের কার্যকর্তা। তাঁরই টিকিট পাওয়া উচিত ছিল। কেন এমন হল দল দেখুক। গোরাচাঁদবাবু জানান, “খুব উত্তেজিত ছিলাম। কি করেছি মনে নেই। তবে মাথা গরম হয়েছিল তখনই যখন প্রতীক বন্টনের পরেও শ্যামসুন্দর আমাকে জানায় নির্দলে তিনি আমার হয়ে ভোট করবেন এই প্রতিশ্রুতি দেওয়ায়।”