সংসদ ভবনের দুই কক্ষ মিলিয়ে মোট ১৪১ জন বিরোধী সাংসদ বহিষ্কৃত। শুধুমাত্র প্রতিবাদ করার জন্য লোকসভা থেকে ৯৬ জন ও রাজ্যসভায় ৪৬ জন বিরোধী সাংসদকে বরখাস্ত করা হল। সোমবারের পরে মঙ্গলবারও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, মালা রায়, সাজদা আহমেদ, খলিলুর রহমান, শশী থারুর, ডিম্পল যাদব, সুপ্রিয়া সুলে, দানিশ আলি, ফারুক আবদুল্লা-সহ ৫০জন সাংসদকে বহিষ্কার করা হল। বিরোধী সাংসদদের সাসপেন্ড করার প্রতিবাদে এবং সংসদে হামলাকাণ্ড প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির দাবিতে আজ প্রথমে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে বিরোধীরা। পরে সংসদ ভবনের যে মূল প্রবেশদ্বার তার সিঁড়িতে বসে সরকারের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় বিরোধী দলের সাংসদেরা। পাশাপাশি, মহীশূরের বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহার পাস জোগাড় করে অভিযুক্তেরা সংসদে প্রবেশ করেছিলেন, তাঁর গ্রেফতারির দাবিতে সরব হয়েছেন বিরোধী দলের সাংসদরা। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহের পদত্যাগের দাবিও তুলেছেন। অবস্থান বিক্ষোভে রয়েছেন ‘ইন্ডিয়া’র শরিক দলগুলির সাংসদেরা। বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন মল্লিকার্জুন খাড়্গে, অধীর চৌধুরী, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ একাধিক বিরোধী সাংসদ। সোমবারের পর মঙ্গলবারেও হই হট্টগোল হয় সংসদ ভবনে। গতকাল শীতকালীন অধিবেশনে সংসদে মোট সাসপেন্ড হওয়া সাংসদের সংখ্যা ৯২। এদিন নতুন করে ৪৯ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ফলে মোট সাসপেন্ড হওয়া সাংসদের সংখ্যা ১৪১।