দেশ

রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের আবহে সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল শুভেন্দুর

রাজ্য ও রাজ্যপাল সংঘাতের আবহে এবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উপর চাপ আরও বাড়ালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ কমিশন সুপ্রিম কোর্টে পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও মামলা করলে যাতে তাঁকে অংশীদার করা হয় তা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ আদালতে ক্যাভিয়েট দাখিল করলেন এই বিজেপি নেতা ৷শুভেন্দুর এই পদক্ষেপের ফলে নির্বাচন কমিশন একতরফাভাবে সুপ্রিম কোর্ট থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও মামলায় কোনও নির্দেশ পাবে না ৷ সম্প্রতি শীর্ষ আদালত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে মামলা শোনে ৷ শুনানির পর কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের উপর হস্তক্ষেপ নাকরার সিদ্ধান্ত নেয় ৷ হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে এসেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন করতে হবে ৷ সুপ্রিমরায়েও সেই নির্দেশ বহাল রইল ৷ এরপর রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীবা সিনহার জয়েনিং রিপোর্ট ফিরিয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷ এর ফলে পঞ্চায়েত ভোটের সময় রাজীবা আদৌ নির্বাচন কমিশনার পদে থাকবেন কি না তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে ৷ রাজ্যপালের সম্মতিক্রমেই ৭ জুন তিনি কমিশনার পদে দায়িত্ব নেন ৷ এরপর ৮ তারিখই নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেন রাজীবা ৷ ঠিক একমাস বাদে ৮ জুলাই পঞ্চায়েত ভোটের দিন স্থির হয় ৷ দিন ঘোষণার পর থেকেই পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে একাধিক আদালতে একাধিক মামলা হয়েছে ৷ কখনও কলকাতা হাইকোর্ট তো কখনও সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বিরোধিরা ৷ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানো থেকে শুরু করে হিংসাত্মক ঘটনা রুখতে কেন্দ্রীয় মোতায়েনের দাবি জানানো হয়েছে ৷ শেষে আদালতের নির্দেশেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হওয়ার কথা ৷ আরও পড়ুন নবান্নের ১৪ তলার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত হওয়া উচিত নন্দীগ্রামে দাবি শুভেন্দুরঠিক কত পরিমাণ বাহিনী আসবে তা নিয়েও বিস্তর চর্চা হয়েছে ৷ প্রথমে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছিল স্পর্শকাতর এলাকায় বাহিনী দিয়ে ভোট করতে হবে ৷ সেই অনুযায়ী ২২টি জেলার জন্য ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চায় নির্বাচন কমিশন ৷ তাতে খুশি হয়নি বিরোধীরা ৷ এই প্রশ্নে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিরোধী শিবির ৷ সেই মামলায় বুধবার ২১ জুন প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ স্পষ্ট জানায় ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে যত পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে মোতায়েন করা হয়েছিল তার থেকে কোনও ভাবে বাহিনীর সংখ্যা কম না হয় ঠিক এখানেই গেরুয়া শিবিরের মনে করছে অন্য কোনও প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করতে পারে রাজ্য সরকার বা রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেক্ষেত্রে আগে থেকেই আইনি রাস্তা পরিষ্কার করে রাখতে চায় বিজেপি । যাতে তাদের অজ্ঞাতসারে সুপ্রিম কোর্ট কোনও মামলা শুনে নির্দেশ না দেয়। দু পক্ষের মধ্যে চলতে থাকা আইনি লড়াই কোথায় গিয়ে থামে সেটাই এখন দেখার।