কলকাতা

গণনা কেন্দ্রে ঢুকলেই আইপ্যাকে গণধোলাই, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর  

শেষ দফা ভোটের আগে বৃহস্পতিবার একাধিক অভিযোগ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দলীয় সতীর্থ শিশির বাজোরিয়া ও জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়কে পাশে নিয়ে আইপ্যাককে কড়া হুঁশিয়ারি দিতে শোনা গেল তাঁকে । তাঁর দাবি, “আইপ্যাকের একটি চোরও যদি ভোট গণনা কেন্দ্রে যায় তাহলে তাদের গণধোলাই দেওয়া হবে ।” এই প্রসঙ্গে খানাকুলের ঘটনার কথা উল্লেখ করে শুভেন্দু বলেন, “খানাকুলে যেমন গণধোলাই দেওয়া হয়েছিল ঠিক তেমনটাই হবে ।” একাধিক অভিযোগ নিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হলেও বিজেপি যে তাদের ভূমিকায় খুশি তাও জানান নন্দীগ্রামের বিধায়ক । তাঁর কথায়,”90 শতাংশ ভোট ঠিক হয়েছে বলে আমরা মনে করছি ।” অন্য একটি প্রসঙ্গে শুভেন্দু জানান, ষষ্ঠ দফায় তাঁদের একটা তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে । কোনওরকম মামলা বা এফ‌আইআর না থাকা সত্ত্বেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলদাস পুলিশ অতিসক্রিয়তা দেখিয়েছে । ৫০ জনের মতো বিজেপির পোলিং এজেন্ট ও কর্মীকে নানাভাবে হেনস্তা করা হয়েছে । আর তাই বিজেপি কর্মীদের প্রতি তাঁর বার্তা, পেন্ডিং এফআইআর নেই এমন কাউকে পুলিশ ডেকে পাঠালেও যাওয়ার দরকার নেই । বাড়িতে এলেও দরজা খোলার দরকার নেই । এদিকে, ষষ্ঠ দফার ভোট শেষে কমিশন জানিয়েছিল যে হাতে গোনা কয়েকটি কেন্দ্র ছাড়া সর্বত্র ওয়েবকাস্টিং হয়েছে । তবে শুভেন্দুর দাবি, বেশ কয়েকটি জায়গায় ক্যামেরা খারাপ থাকার পরও ভোট হয়েছে । এখানেই শুভেন্দু বলেন, “কমিশনের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে । স্যাডো জোন নয় এমন কোথাও ক্যামেরা চালু না থাকলে ভোট হবে না ।” গণনার বিষয় নিয়েও অভিযোগ করেন শুভেন্দু । তাঁর দাবি, বিজেপির থেকে বিভিন্ন জেলার ডিএম ৩০ তারিখের মধ্যে কাউন্টিং এজেন্টদের নাম চেয়ে পাঠিয়েছেন । কারণ, গণনার দিন বিজেপিকে দুর্বল করে দিতে ওই তালিকায় থাকা কর্মীদের গ্রেফতার করা হবে । তবে তিনি জানান কমিশন তাঁকে আশ্বস্ত করেছে সরকারি কর্মী ও দলীয় এজেন্ট ছাড়া আর কাউকেই গণনা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। এমনকী টেবিলে টেবিলে জল বা চা পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্বেও গ্রুপ ডি কর্মীরা থাকবেন বলে শুভেন্দুকে জানিয়েছে কমিশন ।