জেলা

‘বিধানসভায় আমি খুন হয়ে যেতে পারি’! আশঙ্কা প্রকাশ শুভেন্দুর

‘‘বিধানসভায় আমিও ‘খুন’ হয়ে যেতে পারি।’’ এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আমার অন্যান্য বিজেপি বিধায়করাও সুরক্ষিত নন। মহিলা বিধায়করাও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও মন্তব্য করলেন শুভেন্দু। ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার বিকেল। বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল শুভেন্দু অধিকারীকে নালিশ করেন যে মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় রয়েছেন তাই তাঁর গাড়িকে ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফে। নালিশ পাওয়া মাত্রই অগ্নিমিত্রা ও অন্যান্য বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকদের উদ্দেশ্যে কার্যত তেড়ে যান শুভেন্দু অধিকারী। কোন পুলিশ অফিসার অগ্নিমিত্রা পালের গাড়ি আটকে রেখেছিলেন? এই প্রশ্ন তুলে একপ্রকার ধমকের সুরে আগামী দিন যাতে এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি না হয় সে ব্যাপারে কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকদের সতর্ক করেন শুভেন্দু অধিকারী। ঠিক যখন বিধানসভা চত্বর থেকে বিধানসভার দু’নম্বর গেটের দিক শুভেন্দু অধিকারী ও অন্যান্য বিজেপি বিধায়করা বেরোনোর সময়ই মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় বিধানসভা ছেড়ে যাওয়ার সময় ‘চোর’ ‘চোর’ স্লোগান শুরু করেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সঙ্গে গলা মেলান অন্যান্য বিজেপি বিধায়করাও। এরপরই অভিযোগ ওঠে যে বিধানসভার একাংশ কর্মী শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপি বিধায়কদের দিকে তেড়ে যান। কুরুচিকর মন্তব্যও করেন। সেই কর্মীরা গুন্ডামি করেন বলেও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভার যে সমস্ত কর্মীরা তাঁকে এবং বিজেপির বিধায়কদের উদ্দেশ্যে যেভাবে আচরণ করেন তাতে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।  শুক্রবার শ্লোগান দিতে দিতে বিধানসভার সচিবের কাছে গিয়েও প্রয়োজনীয় নথি-সহ অভিযোগ দায়ের করেন। বিধানসভায় যদি আগামী দিনে বিজেপির কোনও বিধায়ক আক্রান্ত বা কোনও মহিলা বিধায়কের শ্লীলতাহানি হয় তাহলে তার দায় সম্পূর্ণভাবে থাকবে সচিবের বলেও কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে স্পষ্ট করেন শুভেন্দু অধিকারী। একই অভিযোগকে সামনে রেখে হেয়ার স্ট্রিট থানাতে বিজেপির মহিলা বিধায়কের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হবে বলেও বিজেপির পরিষদীয় দল সূত্রের খবর।