কলকাতা

কেন্দ্রের সিএএ-র পাল্টা রাজ্যে ‘তপসিলির সংলাপ’ চালু করেছে তৃণমূল, প্রত্যেক এলাকায় পৌঁছে যাবে গাড়ি

সিএএ কার্যকর হতেই পাল্টা মাস্টারস্ট্রোক দিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার তপসিলি জনজাতির ভোট টানতে বিশেষ কর্মসূচি ঘাসফুল শিবিরের। আজ থেকেই নতুন এই কর্মসূচি ‘তপসিলির সংলাপ’ চালু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দেশ জুড়ে লাগু হল সিএএ (CAA) বা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। আইন পাস হওয়ার চার বছর পর গতকাল সোমবার বিকেলে এই আইন সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কেন্দ্র। এরপরেই নানা মহল থেকে আসতে শুরু করেছে তুমুল প্রতিক্রিয়া। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে সোমবারই জানিয়ে দেন “কাউকে বঞ্চনা করতে দেব না।” আজ, মঙ্গলবার থেকেই নতুন কর্মসূচি ‘তপসিলির সংলাপ’ চালু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ১৫ মার্চ থেকে প্রত্যেক এলাকায় যাবে এই প্রচার গাড়ি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে রাজ্যের নানা সম্প্রদায়ের মানুষের উন্নতির জন্য একাধিক প্রকল্প চালু করেছেন। তপসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষদের উন্নতি সাধনে একাধিক প্রকল্প চালু করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তফসিলি জাতি উপজাতি মানুষের অভাব অভিযোগ শুনতে এবং তাঁদের সচেতনতার লক্ষ্যে নতুন কর্মসূচি নিল তৃণমূল কংগ্রেস। তপসিলি জাতি, উপজাতির নেতারা প্রচার গাড়ি নিয়ে এলাকায় এলাকায় প্রচারে যাবেন। প্রত্যেক এলাকায় ৩ থেকে ৫ হটস্পটে আলোচনাসভা হবে। একটা প্রচার পুস্তিকা করা হয়েছে। কী ভাবে তৃণমূল কংগ্রেস রক্ষা করছে। বিজেপি কী ভাবে অত্যাচার করছে তার প্রচার চলবে। তৃণমূল সূত্রে খবর, ৬০০০-এরও বেশি এলাকায় যাবে তৃণমূলের প্রচার টিম। ৩৫০০ জন নেতার নেতৃত্বে প্রচারে নামছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। ১৫০টি প্রচার গাড়ি নামবে অভিযানে। এদিকে, লোকসভা ভোটের ঠিক আগে আগেই আজ উত্তরবঙ্গ সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে ঠাসা কর্মসূচি নিয়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এবারের সফরে যেমন সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান কর্মসূচি রয়েছে, তেমনই পাহাড়ের বিভিন্ন বোর্ডের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।মঙ্গলবার বিকেলে শিলিগুড়ি পৌঁছেই রাজবংশী, নমঃশূদ্র, লেপচা, জিটিএ-সহ একাধিক বোর্ডের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরই মাঝে ‘তপসিলির সংলাপ’ কর্মসূচি প্রচারে নয়া গতি আনতে নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে ।