রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার ১০ মার্চ আয়োজিত হল টেলি অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড ২০২২’। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে এদিনের অনুষ্ঠানে ছিলেন টলিউডের ছোটপর্দা ও বড় পর্দার অভিনেতা অভিনেত্রীরা। সেরার সেরা শিল্পীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে পুরস্কার। সঙ্গে থাকছে টেলি শিল্পীদের পরিবেশিত এক বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এত বড় ইভেন্টে যাতে কোনও ত্রুটি না থাকে, তাই বারবার খতিয়ে দেখছেন পরিচালক- প্রযোজক -বিধায়ক সহ টেলি আকাদেমির ভাইস চেয়ারম্যান রাজ চক্রবর্তী। অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় এবং সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পারফরম্যান্স দিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয় এদিন। শুভশ্রী এবং সায়ন্তিকা ছাড়াও অন্যান্য অন্যান্য চলচ্চিত্র তারকারা এবারের টেলি একাডেমি পুরস্কারে পারফর্ম করবেন। প্রতিদিন সন্ধ্যায় প্রতিটি ঘরে বাংলা সিরিয়াল এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন ড্রয়িং রুমে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে মেগা সিরিয়ালগুলি। আর সেই শিল্পীদের সম্মান জানাতেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন হয় পশ্চিমবঙ্গ টেলি অ্যাকাডেমির তরফে। করোনার সমস্ত বিধি মেনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এদিন ভার্চুয়াল মাধ্যমে,
বারুইপুরের টংতলায় নব নির্মিত পশ্চিমবঙ্গ টেলি আকাদেমির ৪ টি স্টুডিও ফ্লোর ও প্রশাসনিক ভবনের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যারা নিজেদের কাজের মধ্যে দিয়ে আমাদের আনন্দ দান করেন, একথা বলতে লজ্জা নেই, কোভিডের সময় মানুষ যখন একেবারে ঘরের মধ্যে আবদ্ধ ছিলেন, তখন তাঁদের বন্ধু এবং সাথী এই টেলিভিশনই ছিল। বিশেষ করে, নাটক, সিরিয়াল, সংস্কৃতি এবং সিনেমা… টেলিভিশন চ্যানেল যারা বিশেষত সিরিয়াল তৈরি করে তাদের কোনও তুলনা হয় না। অনেকে আছেন বাড়িতে একা থাকেন, বা বাড়িতে যে কাজই থাকুক না কেন, রান্নাটা সময় মতো করে নেন যাতে ধারাবাহিকগুলো দেখা যায়।” মুখ্যমন্ত্রী আরও বললেন, “আমি নিজেও দেখি। রাতের দিকে যখন যতটা সময় পাই, সেই মতো দেখি। আমি শিল্পীদের জন্য গৌরব অনুভব করি। বারুইপুরের এই কমপ্লেক্স ১৩২.৫০ লক্ষ টাকা খরচ করে তৈরি হয়েছে, ১০ একর জমির উপর। কেউ কেউ টিআরপি রেট দেখেন, কিন্তু একবারও ভাবেন না, মানুষের রেটতাই সবচেয়ে বড় টিআরপি। টেলিভিশন কোনও দিন বন্ধ থাকলে মানুষের রাগের শেষ থাকে না। এখনকার ছেলেমেয়েরা খুব প্রতিভাবান। তাঁদের কাজ দেখে অনেক কিছু শেখা যায়। এর উপর অনেকটা অর্থনীতি নির্ভর করে।”